গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৈঠকের পর বাঁকুড়ার সংসদ সদস্য সুভাষ সরকার বলেন, পুরসভা নির্বাচনের জন্য দলের তরফে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। আমরা প্রতিটি বুথের কর্মীদের নিয়ে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। আগে প্রার্থী খুঁজতে আমাদের হিমশিম খেতে হতো। তবে এখন সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৫থেকে ২০ জন করে প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তার মধ্যথেকেই আমরা যোগ্য ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করব। তবে অপেক্ষাকৃত নতুন ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন আবেদনকারীদেরই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
সুভাষবাবু আরও বলেন, দল যাঁকে প্রার্থী করবে কর্মীরা তাঁর জন্যই কাজ করবেন। আমরা এক নয়, একাধিক চেয়ারম্যান উপযোগী প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছি। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলই নয়, আমাদের লক্ষ্য ২৪-০ করা।
প্রসঙ্গত, ২৪ আসন বিশিষ্ট বাঁকুড়া পুরসভায় ২০১৫ সালে বিজেপি দু’টি আসনে জয়ী হয়। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে ২৩টি ওয়ার্ড থেকে লিড পায় বিজেপি। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে জেলা সদর পুরসভায় নিজেদের লোকসভা নির্বাচনের ফল ধরে রাখতে এখন থেকেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করছে বিজেপি।
দলীয় সূত্রের খবর, এজন্য ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে শহরের দু’টি মণ্ডলের বুথ কমিটি, শক্তিকেন্দ্র ও মণ্ডল কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে বিজেপি। শুধু তাই নয়, কীভাবে নির্বাচনের কাজ করতে হবে দলের তরফে তা নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়। তাতে বাড়িবাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা জানার পাশাপাশি কী করলে এলাকার মানুষের ভালো হবে, তা বিজেপি নেতা কর্মীরা নথিভুক্ত করার চেষ্টা করেন।
সাংগঠনিক প্রস্তুতির পাশাপাশি এদিন থেকেই প্রার্থীর নাম বাদ রেখে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করেছে বিজেপি। এদিন সকালে পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নীলাদ্রি দানা মালপাড়ার কাছে রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি দেওয়ালে বিজেপির প্রতীক এঁকে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেন। দেওয়াল লিখনে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ পুরবোর্ড গঠনের স্বার্থে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। নীলাদ্রিবাবুর দাবি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই দলের তরফে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু হবে।