পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহকুমা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন ব্লকগুলিতে প্রায় ৩০০জন গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে রেশন বিলি করার কাজ শুরু হয়েছে। খাদ্যদপ্তরের দাবি, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী দেওয়া হলে গ্রাহকদের রেশন কার্ড সঙ্গে না নিয়ে গেলেও চলবে। এর ফলে দুর্নীতিও বন্ধ হবে। কারণ, ডিলারদের অনেকেই মাসে কত পরিমাণ রেশন দ্রব্য বিলি হল বা কতজন গ্রাহক তা পেলেন, সবকিছু হাতে লিখে মহকুমা খাদ্যদপ্তরে পাঠাতেন। সেখানে এর আগে অনেক গরমিলও ধরা পড়েছে। তবে আঙুলের ছাপ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হওয়ায় সেই দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ হবে।
জানা গিয়েছে, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে রেশন নিতে গেলে আগে গ্রাহকদের রেশন দোকানে গিয়ে নিজের আধারকার্ড সংযুক্তিকরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য আপলোড করিয়ে আনতে হবে। এখনও পর্যন্ত কাটোয়া মহকুমার কাটোয়া ১ ও ২, কেতুগ্রাম ১ ও ২ এবং মঙ্গলকোট ব্লকে আধারকার্ড সংযুক্তিকরণ হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার গ্রাহকের। এই পাঁচ ব্লকেই রেশন দেওয়া হয় প্রায় ১০ লক্ষ ৬০ হাজার গ্রাহককে। যারা এখনও আধারকার্ড সংযুক্তিকরণ করেননি, তাঁদের খাদ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে রেশন দোকানে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
কাটোয়া মহকুমা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক দেবলীনা ঘোষ বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ামক ইতিমধ্যেই আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, মহকুমার প্রতিটি ব্লকের রেশন দোকানগুলিতে গ্রাহকরা যেন তাঁদের আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন সামগ্রী নেন। তাতে দুর্নীতি যেমন রোখার পাশাপাশি গ্রাহকদেরও সুবিধা হবে। তবে আঙুলের ছাপ রেশন নেওয়ার জন্য জরুরি নয়। কিন্তু গ্রাহকরা যাতে তাঁদের প্রাপ্য রেশন ডিলারদের কাছ থেকে বুঝে নিতে পারেন, তারজন্যই এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।