কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২৫ বছর আগেও ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ পড়াশোনা করত না। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বাস করায় চরমেঘনার বাসিন্দাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। সন্ধ্যার পর সীমান্তের গেট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে তাদের গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে নিজেদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে সবাইকে গ্রামে আসা যাওয়া করতে হয়। তবে বর্তমানে গ্রামের সকলের মধ্যে পড়াশোনার ঝোঁক বেড়েছে। পরীক্ষার্থী পবিত্রা বিশ্বাস, বিভা মণ্ডল, কয়েল মণ্ডল বলে, চরমেঘনার প্রায় দু’শো পরিবারের সকলেই দিনমজুর। আগে এই গ্রামে স্বাক্ষর মানুষ প্রায় ছিল না বললেই চলে। সন্ধ্যার পর গ্রামে ঢোকার পথ বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনভাবে চলাফেরা যায় না। আগে বিদ্যুৎ বা রাস্তা কিছুই ছিল না। কয়েক বছরে বিদ্যুৎ ও রাস্তা হয়েছে। গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। ওই বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে গ্রামের ছেলেমেয়েদের প্রায় সাত কিলোমিটার দূরের হাইস্কুলে ভর্তি হতে হয়। সীমান্তের গেট পেরিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যেতে ভীষণ সমস্যা হয়। দূরের স্কুল কলেজের ক্লাস করার সঙ্গে টিউশনি নিতেও অনেক সমস্যা হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অঞ্জনা মণ্ডল বলে, বাড়িতে বাবা মা দু’জনেই অসুস্থ। ঠিকমতো চলাচল করতে পারেন না। পড়ার খরচ চালানোর জন্য ঝুমুর নাচ করি। গ্রামের বাসিন্দা ও অভিভাবক পরিমল বিশ্বাস বলেন, কষ্ট করে পড়াশোনা করে গ্রামের বেশ কয়েকজন বর্তমানে চাকরি করছেন। তাদের কেউ কেউ গ্রামে থাকলেও অনেক চাকুরীজীবী গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলেও গিয়েছেন। তাদের আর সীমান্তের সমস্যায় ভুগতে হয় না। তাই আমরা কষ্ট করে হলেও সকলেই ছেলেমেয়েদের সঠিক শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।