গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ডেবরা পুলিস মহকুমার এসডিপিও সমীর অধিকারী বলেন, একজন ওদের ভিনরাজ্যে কাজে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজ না পেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টা দেখা হচ্ছে। ডেবরা থানার এক আধিকারিক বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ডেবরার বিডিও পিন্টু ঘরামি বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ জানান নি। পুলিসের সঙ্গে কথা বলব।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুর পঞ্চায়েত এলকার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা মাসাং সরেনের দুই ছেলে গোপীনাথ ও শম্ভুনাথকে সোনার কাজ দেবে বলে ওই যুবক নিয়ে যায়। পরে তাদের বাবা-মা খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেদের আর কোনও খোঁজ পাননি। অশিক্ষিত গরিব পরিবার কী করবে, তার কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছে না। খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা উত্তম মহাত তাঁদের থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করান। অভিযোগ পেয়েই অবশ্য তদন্ত শুরু করে পুলিস। উত্তমবাবু বলেন, ওঁরা কেঁদে কেঁদে ঘুরছিলেন। সব জেনে ওঁদের থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করাই। পুলিসও গুরুত্ব দিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে।
নিখোঁজ দুই কিশোরের মা সুন্দরী সরেন বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী লোকের জমিতে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাই। ওই যুবকের নাকি দিল্লিতে সোনার ব্যবসা আছে। সে বারবার আমাদের কাছে এসে দুই ছেলেকে কাজে নিয়ে যাবে বলে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমরা রাজি হইনি। জানি না সে কীভাবে ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এমাসের গোড়ায় আমরা কাজে চলে যাই। এসে দেখি ছেলেরা নেই। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ বলেন, ওই যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। আমরা তার ফোন নম্বর জোগাড় করে যোগাযোগ করি। জানতে পারি, ও ছেলেদের নিয়ে গিয়েছে। আমরা ফিরিয়ে আনতে বললেও ওই যুবক কোনও গুরুত্ব দিচ্ছিল না। উত্তমবাবু সব জানতে পেরে আমাদের থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ করান। আমাদের টাকা চাই না। ছেলেদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
পুলিস জানিয়েছে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই যুবক তার মোবাইল নম্বর বদল করে ফেলেছে। যোগাযোগ করে দেখা যাচ্ছে, সে নতুন একটা নম্বর ব্যবহার করছে। সেটা মিরাটে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে সেখানে পুলিস পাঠানো হবে।