বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের শিব মন্দিরটি কয়েকশো বছরের প্রাচীন। ওইদিন সন্ধ্যা থেকে বহু ভক্ত বাঁকে করে জল নিয়ে এসে শিবের মাথায় জল ঢেলেছেন। ভক্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন গ্রামের মুসলিমরা। মন্দিরে ঢোকার আগে ভক্তদের বসার জায়গা করেছেন। ছোলা-বাতাসার স্টলও করা হয়। বিশেষ মেডিক্যাল টিমের ব্যবস্থা করেন তাঁরা। মন্দিরের বাইরে ভক্তদের হাত-পা টিপে দিয়েছেন তাঁরা। ভক্তদের খাওয়া-দাওয়ার বেশিরভাগ খরচও জোগাড় করেছেন । পুজো শেষে প্রত্যেক ভক্তের খাবারের ব্যবস্থা ও বিশ্রামের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা উসমান শেখ বলেন, মন্দিরে হিন্দু ভাইদের উপাসনার জায়গা, সেখানে তাঁরা ভক্তিভরে পুজো করছেন। মন্দিরের বাইরে আমরা যতটা পেরেছি ভক্তদের সাহায্য করেছি। আর এক বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, বহুবছর আগে এই এলাকা জঙ্গলে ভর্তি ছিল। কিন্তু দুপুরের দিকে প্রতিদিন একটি গোরু একটি পাথরের মাথায় দুধ ঢেলে দিতো। পরে ওই জঙ্গল সাফ করে পাথর মহাদেব রূপে পুজিত হয়ে আসছে।
মন্দির কমিটির সম্পাদক মহম্মদ আজাহারউদ্দিন বলেন, বহু বছর ধরে গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এভাবে শিব ভক্তদের সাহায্য করে আসছেন। স্থানীয় আউচা গ্রামের পুরোহিত তারাচরণ ঘোষাল বলেন, ওই গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন চাঁদা দিয়ে শিব মন্দির সংস্কার করেছেন। প্রতিবার শিবরাত্রিতে ওঁরা শিব ভক্তদের পাশে দাঁড়ান। এই সম্প্রীতি দেখে ভালো লাগে।