কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের দে পরিবারের এলাকায় ৩০কাঠা জমি রয়েছে। যদিও কর্মসূত্রে সকলেই নলহাটি শহরে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই জমির ভাগচাষি বৈদ্যনাথ লেট ওরফে তামালের সঙ্গে তাঁদের অশান্তি চলছে। অভিযোগ, বেশ কয়েকবছর ধরে ওই জমির উৎপাদিত ফসলের অংশ মালিকপক্ষকে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ভাগচাষি। মাস তিনেক আগে গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপপ্রধান কাজল লেট দু’পক্ষকে নিয়ে মীমাংসায় বসেন। সেখানে ঠিক হয়, আট কাঠা জমি বৈদ্যনাথকে দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত মেনেও নেয় দু’পক্ষ। অভিযোগ, এরপরও পুরো ৩০ কাঠা জমিই জবরদখল করতে চাইছেন বৈদ্যনাথ। সেইমতো বেড়া দিয়ে ঘেরাও হয়েছে। এদিন মালিকপক্ষ গ্রামে এসে সেই বেড়া ভাঙতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। ধারালো অস্ত্রের কোপে মালিকপক্ষের পাঁচজন ও তাঁদের এক শ্রমিক জখম হন।
মালিক পক্ষের তরফে ভাস্কর দে বলেন, আমরা জমির কাছে যেতেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ বসাতে থাকে ভাগচাষি ও তার পরিবার। তাতেই বাবা, কাকা সহ আমাদের এক শ্রমিক জখম হয়েছেন।
ভাগচাষি ও তার পরিবার ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপপ্রধান কাজল লেট বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দু’পক্ষের অশান্তি হচ্ছিল। মাস তিনেক আগে মীমাংসায় বসে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে আট কাঠা জমি বৈদ্যনাথকে দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। দু’পক্ষ সেটা মেনেও নেয়। সেইমতো এদিন মালিকপক্ষ শ্রমিক নিয়ে বাকি অংশ দখল নিতে আসা মাত্রই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় বৈদ্যনাথ ও তার পরিবার। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই বৈদ্যনাথ ও তার পরিবার পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।