পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেহা আসানসোলের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের রানিসায়ের এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা অমরলাল সাউয়ের ছোট একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে। নেহা বার্নপুরে মহাত্মা গান্ধী হাই স্কুলের ছাত্রী ছিল। তার মাধ্যমিকের সেন্টার পড়েছিল বার্নপুরের নরসুমদা হাইস্কুলে। পরীক্ষাও দিচ্ছিল সে। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ এলাকার একটি কুয়োতে সে জল আনতে যায়। তারপর থেকে তার খোঁজ মেলেনি। পরে এলাকাবাসী কুয়োর জলে নেহা কুমারীকে ভাসতে দেখে। তড়িঘড়ি এলাকাবাসী তাকে কুয়োর জল থেকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নেহার বাবা বলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পারছি না। ও খুব মেধাবী ছিল। ডিসি (পশ্চিম) অনমিত্রা দাস বলেন, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন কুলটির বেজডি কোলিয়ারির বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা কুমারীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির পাশের কুয়োতে দেহ পড়েছিল। সেও মহাত্মা গান্ধী হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল। এদিন একইভাবে তারই বন্ধু নেহার মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অপরদিকে, ঝাঁঝরা কোলিয়ারির বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুমিত উখড়া আদর্শ হিন্দি হাইস্কুলের ছাত্র। তার বাবা মুকেশ নুনিয়ার একটি মুদিখানা দোকান আছে। দুঃস্থ পরিবারের ছাত্র সুমিত দিনমজুরি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাত। সোমবার বিকেলে সে অ্যাডমিট ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড জেরক্স করার জন্য সাইকেলে করে দোকানে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টোদিক থেকে বাইক নিয়ে আসা কালিয়া বাউড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুমিতকে ধাক্কা মারেন। এরপরেই পথচারী ববিতা শ্যাম ও তাঁর মেয়ে প্রতীক্ষা শ্যামকে ধাক্কা মারেন বাইক আরোহী। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পাঁচজন জখম হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বাইক আরোহীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুমিত আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বৃহস্পতিবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়।