কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিনের অনুষ্ঠানে মরণোত্তর চক্ষুদান, মরণোত্তর দেহদান এবং রক্তদানের আয়োজন করা হয়েছিল। শিবিরে ঢুকে মন্ত্রী সকলকে চমকে দিয়ে বলেন, আমি মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করব। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জন্য ফর্ম ফিলাপ করা হয়। তারপর মন্ত্রী স্বাক্ষর করেন। স্বপনবাবু বলেন, আমরা রক্তদান, চক্ষুদান, দেহদান নিয়ে মানুষকে উৎসাহিত করি। কিন্তু, আমরা যদি নিজেরা দান না করি, তাহলে সাধারণ মানুষ উৎসাহ পাবেন কোথা থেকে? আমি দু’বছর আগে মরণোত্তর দেহদান করেছি। তবে, কোথাও চক্ষুদান করেনি। তাই এদিন মাতৃভাষা দিবসের দিন মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকার করলাম।
জয়হিন্দ বাহিনীর পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি রবিন নন্দী বলেন, আমাদের মন্ত্রী স্বপনবাবু মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকার করে আমাদের সকলকেই এদিন অনুপ্রাণিত করেছেন। আমরা গর্বিত। মন্ত্রী সহ এদিন মোট ১০৬ জন মরণোত্তর চোক্ষুদানে অঙ্গীকার করেছেন। সেই সঙ্গে ৫৪জন মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার করেছেন। এদিন রক্তদান করেছেন ৮৫২ জন।
অন্যদিকে, এদিন কালনা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের মীনাপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানেও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ দেবাশিস নাগ, কালনার মহকুমা শাসক সুমন সৌরভ মহান্তি, মহকুমার তথ্য আধিকারিক বংশীবদন মণ্ডল, স্কুল পরিদর্শক দিবাকর ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শহিদ বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তাঁরা। পড়ুয়ারা গান, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করে। অন্যদিকে, এদিন নাদনঘাট থানার চণ্ডীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়।