বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঝাড়খণ্ডের মহেশপুরের সিবিএসই অনুমোদিত ডিএভি পাবলিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে মুরারইয়ের ২৫ জনের মতো পডুয়া পড়াশোনা করে। নিত্যদিন তাদের বাসে করে ১২ কিলোমিটার দূরের ওই স্কুলে নিয়ে যাওয়া ও ফেরত পাঠানো হয়। এদিনও সকালে ছোট মেয়ে শা গুপ্তাকে স্কুলবাসে চাপিয়ে দেন পেশায় শিক্ষক নাইম রেজা। বাসটি ঝাড়খণ্ডের সোনারপাড়া অতিক্রম করার সময় হঠাই শা গুপ্তা পাটাতন ভেঙে নীচে পড়ে যায়। অন্যান্য পডুয়াদের চিৎকারে চালক তড়িঘড়ি বাস থামিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাস চালক দৌড়ে এসে ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে। ওই ছাত্রীর কপালে চোট লেগেছে। তার হাত ও পা ছিঁড়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে মুরারই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সেই সময় পিছনে কোনও গাড়ি থাকলে বড়সড় বিপদ ঘটে যেত। কপালের জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। বাসের গায়ে নতুন রঙের প্রলেপ পড়লেও ভিতরের যা অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে, ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের জীবনের কোনও মূল্যই তাদের কাছে নেই। অধিকাংশ স্কুলবাসই পুরনো মডেলের এবং রুটে চলার অযোগ্য।
ছাত্রীর বাবা নাইম রেজা বলেন, মেয়ে খুব জোর বেঁচে গিয়েছে। মাথায়, হাতে ও পায়ে চোট পেয়েছে। তবে, এবিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ করিনি। প্রিন্সিপালকে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছি। কারণ, আমরা বাড়াবাড়ি চাইছি না। প্রিন্সিপাল নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন এবং ওই বাস পরিবর্তন করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের তিনটি বাসই ভাড়ায় নেওয়া। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের জন্য গ্যারেজে ছিল। এদিন থেকেই সেটা ফের চালানো শুরু হয়েছিল। তারপরও এই ঘটনা দেখে বোঝাই হচ্ছে, মেরামত বলে কিছুই হয়নি।
অন্যদিকে প্রিন্সিপাল এসএন সিং বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিল। শিশুটি সুস্থ আছে। তবে, বাসের এমন অবস্থা আমাদের জানা ছিল না। এদিনই বাস সহ চালককে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস মালিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রশ্নের তিনি কোনও উত্তর দেননি।