গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এসিপি সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, তদন্তে নেমে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার সাড়ে ৭টা নাগাদ আসানসোলের পুরনো আশ্রম মোড়ের কাছে একটি বড় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দু’জন একটি সোনার আংটি কিনে নিয়ে গিয়েছিল। এদিন সন্ধ্যায় প্রথমে সেই আংটি পরিবর্তনের নাম করে দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢোকে। তারপরেই দোকানের বাইরে থাকা একজন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর কাছে জল চায়। নিরাপত্তারক্ষী দোকানমুখো হতেই তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকিয়ে নেয়। পাশাপাশি আরও দু’জন পিস্তল হাতে দোকানে ঢুকে পড়ে। এরপরেই দোকানে থাকা এক মহিলা কর্মী ও মালিককে পিস্তল দেখিয়ে দোকানে থাকা সব সোনা ও হীরের গয়না লুট করে চম্পট দেয় তারা। জনবহুল বাজারের মধ্যে থাকা ওই দোকানে এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। দোকানের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিক্স নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পাশের হোটেলগুলির ক্যামেরা চেক করতে গিয়ে পুলিসের নজরে আসে, কোনও ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন, কোনওটিতে ছবি একেবারে অস্পষ্ট। এরপর পুলিস রাস্তার ক্যামেরাগুলির ফুটেজ চেকিং শুরু করেছে। ডাকাতদের মুখ বাঁধা ছিল না। তাই তাদের স্কেচ আঁকানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ঘটনার পর বিহার বা ঝাড়খণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
পুলিস তদন্ত শুরু করলেও এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সোনার দোকানের অদূরেই ইন্ডিয়ান ওয়েলের একটি বড় পেট্রল পাম্প রয়েছে। ওই পাম্পের ম্যানেজার অনিমেষ দে বলেন, আমাদের পাম্পেও কয়েক বছর আগে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছিল। বুধবার রাতের ঘটনার পর থেকে ফের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। আমাদের পাম্প সারা রাত খোলা থাকে। তাই টাকা লুটের ভয় রয়েছে। পাম্পের মালিক সুবীর সাহা বলেন, কাজের জন্য প্রায় সারা রাত বাইরে থাকতে হয়। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এদিকে সোনার দোকান লাগোয়া একটি খ্যাতনামা চশমার শোরুম রয়েছে। সেখানকার ম্যানেজার অরিন্দম ধীবর, কর্মচারী অমিতাভ আচার্যদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ ছিল স্পষ্ট। অমিতাভবাবু বলেন, লাগোয়া দোকানে এতবড় ডাকাতি হলেও বিন্দুমাত্র টের পাইনি। খুব ভয় লাগছে। দোকানের উপরেই রয়েছে মনিন্দর কুন্দার হোটেল। তিনি বলেন, সেই সময় আমি গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলাম। কিন্তু, বাইরে থেকে কিছু বুঝতে পারা যায়নি। তবে তাঁর হোটেলের সিসিক্যামেরা খারাপ থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনও কারণে তারের সংযোগের কোনও সমস্যা হয়েছিল।
আসানসোলের চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমপ্রকাশ বাগড়িয়া বলেন, বিষয়টি উদ্বেগের। ব্যবসায়ীদের ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা পুলিসকে দ্রুত এর কিনারা করার জন্য আবেদন করেছি। প্রয়োজনে ডেপুটেশন দেওয়া হবে।