কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে বুধবার রাতে মুরারই-বাঁশলৈ রাস্তায় তল্লাশি চালানো হয়। নির্দিষ্ট খবর থাকায় একটি পিকআপ ভ্যানকে মুরারইয়ের পলশা গ্রামের কাছে আটক করে পুলিস। ভ্যান থেকে উদ্ধার হয় ৬০০০ পিস জিলেটিক স্টিক ও ২৫০০ পিস ডিটোনেটর। গ্রেপ্তার করা হয় গাড়ির চালক আলমজিৎ শেখকে। তার বাড়ি মল্লারপুরের শিউলিয়া গ্রামে। পুলিসের অনুমান, ঝাড়খণ্ড থেকে বিস্ফোরক বোঝাই ভ্যানটি মল্লারপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে, এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি কীভাবে ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে এল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে।
তবে এই প্রথম নয়, গতবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ঝাড়খণ্ড সীমানায় নাকা চেকিং চলাকালীন একটি ট্রাক্টর আটক করে ২৫০০পিস জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করে মুরারই থানার পুলিস। একইভাবে গতবছর ৫ এপ্রিল নলহাটির বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চল যাওয়ার রাস্তার উপর লরি আটক করে উদ্ধার হয় ১ লক্ষ ৮০ হাজার পিস ডিটোনেটর। ১০ জুলাই রামপুরহাটের রদিপুর গ্রামের কাছে ১১৯ কুইন্টাল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও প্রায় এক লক্ষ ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। এছাড়া নিত্যদিন জেলায় বোমাবাজি ও বোমা উদ্ধার লেগেই রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বোমা তৈরিতে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে পাথর খাদানেও তা ব্যবহার হয়।
যদিও ২০১৭ সাল থেকেই জেলায় ২১৭টি খাদানের মধ্যে ২১১টিতে পরিবেশ আদালতের নির্দেশে বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু, অধিকাংশই চালু রয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে ওই অবৈধ খাদানে কোনও বৈধ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী বিস্ফোরক সরবরাহ না করার জেরে গজিয়ে উঠেছে বিস্ফোরকের আন্তঃরাজ্য পাচারচক্র। পুলিস অবশ্য মাঝে মধ্যেই বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মূল কারবারিরা অধরাই থেকে যায়।
রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিক সৌম্যজিৎ বরুয়া অবশ্য বলেন, ধৃতকে জেরা করে এই পাচার চক্রের মূলে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। - ফাইল চিত্র