কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মা ও মেয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে দু’টি ভিন্ন স্কুলে। তাঁরা পড়াশোনাও করেন আলাদা হাই মাদ্রাসায়। মাসুরা বলেন, স্বামী বিদেশে কাজ করত। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। বেশ কিছুদিন বাড়িতে থাকার পর ২০১৭সালের ২ফ্রেব্রুয়ারি মারা যায়। তখন বাড়িটাও সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি। ছাদের ঢালাই দেওয়া বাকি ছিল। বাড়িতে দুই মেয়ে এবং এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কীভাবে দিন কাটবে সেই চিন্তায় রাতের ঘুম চলে গিয়েছিল। কয়েকদিন পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, পড়াশোনা করার পর প্রতিষ্ঠিত হয়ে সংসারের হাল ধরতে হবে। সেকারণেই স্থানীয় হাই মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হই। বড় মেয়ে মুবাসিরা খাতুনও অন্য একটি হাই মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত। বাড়িতে আমরা দু’জনে পড়াশোনা করতাম। পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। সরকারি চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাব। মেয়েদেরও পড়াশোনা করাব।
তাঁর মেয়ে মুবাসিরা খাতুন বলেন, বাবার মৃত্যুর পর বাড়িতে আর্থিক অনটন শুরু হয়েছিল। তারপরও মা আমাকে পড়াশোনা করতে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন। বাড়ির কাজ করার পর আমরা দু’জনে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল জালাল বলেন, সত্যিই ওঁরা এলাকার লোকজনকে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন। ওঁর স্বামী বাইরে কাজ করতেন। তাই সংসার ভালোভাবেই চলে যেত। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারের উপর ঝড় বয়ে গিয়েছে। বাড়িতে অল্প পরিমাণ জমি রয়েছে। তিনি মাঝেমঝে টেলারিংয়ের কাজ করেন। মাসুরা গঙ্গাপ্রসাদ হাইমাদ্রাসায় পরীক্ষা দিচ্ছেন। মেয়ে তপিডাঙা হাইমাদ্রাসায় পরীক্ষা দিচ্ছে। বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার অধিকারী বলেন, ওঁর লড়াইকে কুর্ণিশ জানাই। বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসব। সবরকম সহযোগিতা করা হবে।