বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মুরগির মাংস থেকেই সংক্রমণ হয়েছে। তবুও এলাকা থেকে ডিপ টিউবওয়েল এবং একটি পুকুরে জলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সিএমওএইচ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, বাড়িতে যাঁরা অসুস্থ আছেন, তাঁদের সবাইকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করার জন্য বিএমওএইচকে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার এলাকায় একটি বিয়েবাড়ি ছিল। সেখানে কুণ্ডলপাল পূর্ব পাড়ার প্রায় সকলেই ও পশ্চিম পাড়ার কিছু বাসিন্দা নিমন্ত্রিত ছিলেন। প্রধান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’জনের বমি, পায়খানা হয়। তেমন একটা গুরত্ব দেওয়া হয়নি। বুধবার সকালেও কয়েকজন বাসিন্দার এরকম হয় বলে খবর আসে। মূলত পূর্ব পাড়ার বাসিন্দারাই বেশি অসুস্থ হয়েছেন।
পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আবুকালাম বক্স বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। প্রতিটি বাড়ি থেকেই বমি, পায়খানার খবর আসতে থাকে। অনেককেই হাসপাতালে আনতে হয়। বিএমওএইচ সুভাষচন্দ্র কাণ্ডার বলেন, বুধবার এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। রাতে আমিও এলাকায় ঘুরি। জেলা থেকেও মেডিক্যাল টিম এসেছে। বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন বাড়ি থেকে অসুস্থ হওয়ার খবর আসে। আমাদের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। প্রধান বলেন, অসুস্থরা অনেকেই হাসপাতালে ভরতি হতে চাইছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা শুকদেব জানা বলেন, বিয়েবাড়িতে যাঁরা মুরগির মাংস খেয়েছিলেন, তাঁরাই অসুস্থ হয়েছেন। বুধবার থেকে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। এক বাসিন্দা অভিজিৎ কোটাল বলেন, আমরা বিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। বাড়ির সকলেই অসুস্থ হয়ে গিয়েছি। বমি, পায়খানা, জ্বর, পেটের যন্ত্রণা সবাইকে ভোগাচ্ছে। আমরাও মুরগির মাংস খাই। শুনছি যাঁরাই মুরগির মাংস যাঁরা খেয়েছেন, তাঁরাই অসুস্থ হয়েছেন। আর এক বাসিন্দা প্রতিমা কোটাল বলেন, বুধবার থেকে পেটের যন্ত্রণায় ভুগছি। বমি, পায়খানাও হয়েছে। কী থেকে যে এমন হল, বুঝতে পারছি না। শুনছি মুরগির মাংস খাওয়ার জন্য হয়েছে।
দেবাশিসবাবু বলেন, সোমবার বিয়েবাড়িতে খাওয়া-দাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার কয়েকজন অসুস্থ হন। বুধবার থেকে সংখ্যাটা বাড়ে। বৃহস্পতিবারও অসুস্থ হওয়ার খবর এসেছে। ২৫০-৩০০জন অসুস্থ হয়েছেন। হাসপাতালে ১৩জন ভরতি আছেন। বুধবার থেকেই আমাদের মেডিক্যাল টিম বাড়ি বাড়ি ঘুরছে। সকলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। ওআরএস, ওষুধ বিলি করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে সুস্থ হচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মুরগির মাংস থেকেই সংক্রমণ হয়েছে। কারণ যাঁরা মুরগির মাংস খেয়েছিলেন, তাঁরাই অসুস্থ হয়েছেন। এখন তো আর খাবারের নমুনা পাওয়া যাবে না। তাই আমরা কয়েকজনের থুতুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। আর যে ডিপ টিউবওয়েলের জল ব্যবহার করা হয়েছিল এবং যে পুকুরের জলে হাতমুখ ধোয়া হয়েছিল, সেই জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।