বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার কিস্তারাম থানার পালোদি গ্রামের কাছে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে রঘুনাথপুর থানার লছিয়া গ্রামের কোবরা বাহিনীর জওয়ান কানাই মাজি(২৮) মঙ্গলবার শহিদ হন। ওইদিন রাতেই তাঁর মৃত্যুর খবর গ্রামে আসে। বুধবার শহিদের দেহ গ্রামে আসবে খবর পেয়ে আশেপাশের গ্রামের বহু মানুষ ভিড় জমান। পুলিসের কাছে প্রথমে খবর আসে দেহ হেলিকপ্টারে আসবে। সেইমতো রামকানালির বেসরকারি বিএড কলেজ মাঠে একটি হ্যালিপ্যাড বানানো হয়। তবে রাঁচি পর্যন্ত হেলিকপ্টারে ও সেখান থেকে সড়ক পথে দেহ আনা হয়। বিশাল পুলিস বাহিনী ও বাঁশের বেড়া দিয়ে এলাকা মুড়ে ফেলা হয়। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মাঠে দেহ আসতেই উপস্থিত জনতা বীর শহিদের উদ্দেশে স্লোগান দেন। ওইদিন রাতেই স্থানীয় শ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়।
কানাই চার বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর পরিবারে বাবা, মা, স্ত্রী ও একটি দু’বছরের ও একটি এক মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। ছোট মেয়ের জন্মের সময় গত ১৭ জানুয়ারি শেষবার বাড়ি এসেছিলেন কানাই। বুধবার মৃতদেহ আসতেই এক মাসের ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কানাইয়ের স্ত্রী পাপিয়া মাজি। তিনি বলেন, ও আমাকে প্রতিদিন ফোন করত। কিন্তু, মঙ্গলবার কোনও কথা হয়নি। রাতেই দুঃসংবাদ পাই। জীবনের সব কিছু শেষ হয়ে গেল। এদিকে, শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন কানাইয়ের মা। চাষের কাজ করা শহিদের বাবা দিলীপ মাজি বলেন, কানাই পরিবারের একমাত্র ছেলে ছিল। ও আমাদের একলা করে চলে গেল।
ওইদিন শহিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি, জেলা পরিষদের কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিস সুপার এস সেলভা মরুগান প্রমুখ। সকলে ফুলের তোড়া দিয়ে শহিদকে স্যালুট জানিয়ে বিদায় দেন। মন্ত্রী বলেন, শহিদের পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়েছে। সরকার ওই পরিবারের পাশে রয়েছে।