গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রামপুরহাট শহরে রয়েছে গার্লস স্কুল, জেএল বিদ্যাভবন, রেলওয়ে আদর্শ বিদ্যামন্দির, হাইস্কুল, মর্নিং গার্লস সহ একাধিক স্কুল। প্রতিটি স্কুলেই মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার হয়েছে। শহর লাগোয়া গ্রামের বেশিরভাগ স্কুলের পরীক্ষার্থীদের এখানে সিট পড়েছে। কিন্তু, শহরের যানজটের ফাঁসে নাভিশ্বাস উঠছে পরীক্ষার্থীদের। সেই সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও যানজটের শিকার হচ্ছেন। দেশবন্ধু রোড, ব্যাঙ্ক রোড, স্টেশন থেকে আসা রাস্তা, জাতীয় সড়ক ও দুমকা রোড সব রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তার উপরে বিভিন্ন দোকানের বাড়তি অংশ ফুটপাতের উপর চলে আসায় পায়ে হেঁটেও যাওয়া যাচ্ছে না।
এক অভিভাবক সুবিনয় দাস বলেন, মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রথম দিন যানজটের কবলে পড়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। শেষমেশ পরিচিত এক দোকানের সামনে বাইক দাঁড় করিয়ে হেঁটে মেয়েকে সেন্টারে পৌঁছে দিতে হয়েছে। পরের দিন থেকে হাতে সময় নিয়ে বেরচ্ছি। তিনি অবশ্য এই যানজটের জন্য অবৈধ টোটোকেই দায়ী করেছেন।
আর এক অভিভাবক পাঞ্চালি নাগ বলেন, যানজট মুক্ত করতে টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছিল প্রশাসন। ওয়ানওয়ে করা হয়েছিল রাস্তা। কিন্তু, নজরদারির অভাবে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যত্রতত্র যাত্রী চাপিয়ে এদিক ওদিক রাস্তা দিয়ে ছুটছে টোটো। স্কুল ও অফিস টাইমে নাভিশ্বাস ওঠে। এখন পরীক্ষার সময় গ্রামের ছাত্রীরাও বিভিন্ন যানবাহন চড়ে শহরের সেন্টারে আসায় সেই যানজট কয়েকগুণ বেড়েছে।
শেফালি কোনাই নামে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বলে, জাতীয় সড়ক ধরে আসতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। একবার জট লাগলে তা ছাড়তে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে।
তবে, যানজট নিয়ন্ত্রণে শহরের ভিতরের রাস্তা ও জাতীয় সড়কে ট্রাফিক পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হলেও সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। ট্রাফিক পুলিসের এক কর্মী বলেন, অত্যাধিক হারে টোটো বেড়ে চলায় শহরের যানজট তীব্রতর হয়ে উঠছে।
যানজট সমস্যা স্বীকার করে রামপুরহাট থানার আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, টোটোয় চড়ে শহর ও গ্রামের পরীক্ষার্থীরা সেন্টারে আসা যাওয়া করছেন। ফলে, পরীক্ষার্থীদের নামিয়ে তো টোটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তার উপরে পরীক্ষার সময় বাইপাসে লরি চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে, ওই রাস্তাতেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে, সর্বত্র যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক ও পুলিস মোতায়েন করা হচ্ছে।
শহরের ভিতরের যানজট প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, গ্রামের টোটো শহরে ঢোকা বন্ধ করতে পারলে অনেকটা যানজট কমে আসবে।