গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-’১৭বর্ষ থেকে বিভিন্ন ব্লকে আবাস যোজনার কন্টিজেন্সি ফান্ডের ছ’কোটি টাকার বেশি বকেয়া পড়েছিল। ওই টাকায় পরিকাঠামো উন্নয়ন, আবাস যোজনার জন্য নিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সাম্মানিক প্রদান, রাজমিস্ত্রিদের প্রশিক্ষণ এবং শুধুমাত্র আবাস যোজনার কাজে যুক্ত গাড়ির খরচ মেটানোর কথা। কিন্তু, নিয়ম ভেঙে জেলা পরিষদের সমূহ গাড়ির বিল মেটানোর জন্য অনুমোদন পাশ করানো হয় জেলা পরিষদের অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিংয়ে। তারপর আবাস যোজনার ১৩লক্ষ টাকা দিয়ে বকেয়া গাড়ির বিল মেটানো হয়েছে। আবাস যোজনা প্রকল্পে যুক্ত এক কর্মী বলেন, আমাদের বিভাগের জন্য কোনও গাড়ি নেই। কন্টিনজেন্সি ফান্ড থেকে ১৩লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদের বকেয়া গাড়ির বিল মেটানো হয়েছে।
গত ১৭জানুয়ারি জেলা পরিষদে অর্থ সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতির সভা হয়। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে আবাস যোজনা প্রকল্পে কন্টিনজেন্সি ফান্ড থেকে জেলা পরিষদের সমূহ গাড়ির বিল প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়। অল্প দিনের মধ্যেই সেই বিল পেমেন্ট করে ফান্ড ফাঁকা করে দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ সন্দীপ বেরা এবং উপাধ্যক্ষ কণিকা মণ্ডলের যাতায়াতের জন্য গাড়ি বরাদ্দ করা হবে কি না, সে প্রসঙ্গও ওঠে। সভাধিপতি জানান, অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষর জন্য আলাদা করে গাড়ি বরাদ্দ করা যাবে না। এই অবস্থায় অধ্যক্ষকে মাসিক সাম্মানিকের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩০০০ টাকা এবং উপাধ্যক্ষকে মাসিক সাম্মানিকের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০০০ টাকা জেলা পরিষদের নিজস্ব ফান্ড থেকে দেওয়ার অনুমোদন পাশ হয়।
এই মুহূর্তে জেলা পরিষদের ২৪টি গাড়ি আছে। প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকার বিল মেটানো হয়। নিজস্ব তহবিলের পাশাপাশি অন্যান্য ফান্ড থেকেও ওই বিল মেটানো হয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জেলা পরিষদের সমূহ গাড়ির বিল কেন আবাস যোজনার ফান্ড থেকে মেটানো হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। সভাধিপতি বলেন, আবাস যোজনার কাজে তদারকির জন্য বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি নিয়ে যেতে হয়। তাহলে আমরা কেন আবাস যোজনার কন্টিনজেন্সি ফান্ড থেকে গাড়ির বিল মেটাব না?