কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, লিপস্টিক ট্রি-র ফল একসময় মেয়েদের ঠোঁটে লিপস্টিক হিসেবেই ব্যবহার হতো। সাধারণত প্রবাসী ভারতীয়রা এই ফল ব্যবহার করতেন। এখন অবশ্য বাজারে সিন্থেটিক লিপস্টিক আসায় ওই লিপস্টিক ট্রি-র ফল বিলুপ্ত হতে বসেছে। বর্তমানে কিছু জায়গায় ওই লিপস্টিক ট্রি পাওয়া যায়। এমনই কিছু গাছ সিউড়ির কড়িধ্যায় যদু রায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশনে রয়েছে। এবার ওই গাছের ফল থেকেই তৈরি হবে ভেষজ আবির।
সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিবেকানন্দপল্লি এলাকায় শিবাজি ভাদুড়ি মেমোরিয়াল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রয়েছে। কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিয়ে ওই সোসাইটি তৈরি হয়েছে। ওই গোষ্ঠীর সদস্যরাই গতবছর থেকে ভেষজ আবির তৈরি করছেন। গতবছর বসন্ত উৎসবে তাঁদের আয়ও হয়েছিল। তাই বাজারে চাহিদা থাকায় এবার তার পরিমাণ বেড়েছে বলে দাবি। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে ওই সোসাইটিকে লিপস্টিক ট্রি দিয়ে আবির তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। যদু রায় হাইস্কুলও সেই আবির তৈরির অর্ডার দিয়েছে। ফলে, সোসাইটির সদস্যরা তার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। সোসাইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু লিপস্টিক ট্রি-র ফল থেকেই আবির তৈরি হবে এমন নয়। অপরাজিতা, গাঁদা, গোলাপ প্রভৃতি ফুল থেকেও তৈরি করা হবে ভেষজ আবির। যদু রায় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, স্কুল চত্বরে লিপস্টিক ট্রি লাগানো হয়েছিল। সেই গাছের ফল মাঝে মাঝে স্কুলের ছাত্রীরাই ব্যবহার করে। এবার সেখান থেকে ভেষজ আবির তৈরি হবে। এরজন্য গাছ থেকে ফল পেড়ে শুকানো হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সেই ফল দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সোসাইটির সম্পাদক মালা ভাদুড়ি বলেন, আমরা চাই সমাজের সমস্ত জীব বৈচিত্র্য থেকে প্রত্যেকের ধারণা তৈরি হোক। তাই প্রকৃতি থেকে পাওয়া ফুল, ফল দিয়ে আবির তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গতবছর প্রায় ১০হাজার টাকা আয় হয়েছিল। বাজারে চাহিদা থাকায় এবার তাই আবির তৈরির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।