কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পঞ্চায়েত অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক অফিসে ১২০জন ভাতা প্রাপকের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। অথচ সেই তালিকা অনুযায়ী মাত্র ৫৬জন ভাতা পাচ্ছেন। বাকি ৬৪জন ভাতা পাননি। এনিয়ে আব্বাস আলি মিদ্যা, পঞ্চানন সামন্ত, কমল কান্ত দাস বলেন, আমরা বহুদিন ধরে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করছি। পঞ্চায়েতের তরফে আমাদের নামের তালিকা বিডিও অফিসে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত বার্ধক্য ভাতার কোনওরকম সুবিধা আমরা পাইনি। অথচ যাঁরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল রয়েছেন, তাঁরা এই ভাতা পাচ্ছেন। মূলত বিডিও অফিস থেকেই এই কারসাজি করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ব্লক অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত সুবিধা প্রাপকরা যাতে ওই ভাতার টাকা পান, আমরা সেই দাবি জানিয়েছি।
এবিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমিনউদ্দিন মিদ্যা বলেন, ব্লকের অধীনস্থ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ এদিন তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অল্পসময়ের মধ্যে ওই নামের তালিকা করার কারণে অনেকের নাম বাদ গিয়েছে। আগামী দিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যাঁরা বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার সুবিধা পাননি, তাঁরা যাতে সুবিধা পান, সেই বিষয়টি দেখা হবে।
চিলাডাঙি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লিপিকা মাইতি বলেন, পঞ্চায়েতে যেসকল মানুষ ওই সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখে একটা তালিকা তৈরি করে ব্লক অফিসে পাঠিয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী বার্ষিক আয় ১২ হাজার টাকার অধিক নয়, এমন মানুষরাই ওই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। সেই মর্মে প্রতিটি আবেদনের সঙ্গে একটি করে পঞ্চায়েতের তরফে আয়ের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে আবেদনের তালিকায় নাম নেই, এমন বহু মানুষ ওই সুবিধা পাচ্ছেন।