কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে রুমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাহেরপুর থানার বিননগর খরদাপাড়া এলাকার যুবক লক্ষ্মণ দাসের। লক্ষ্মণ পেশায় দিনমজুর। অভিযোগ, সন্তান হওয়ার পর থেকেই নানা কারণে স্ত্রীকে অত্যাচার করত স্বামী। রুমার পরিবারের অভিযোগ, লক্ষ্মণের অত্যাচার চরমে উঠলে রুমাকে মারধর পর্যন্ত করা হতো। গত সোমবার তাদের অশান্তি চরমে উঠলে রুমা বেড়া কামগাছি উত্তরপাড়া এলাকায় তাঁর বাপেরবাড়িতে চলে আসেন। সেখানেই নিজের মেয়েকে নিয়ে দু’দিন ছিলেন। এরপর রুমার বাপেরবাড়ির পাশে একজন আত্মীয়ের টিনের তৈরি বাড়ি বুধবার সকালে ফাঁকা থাকার সুবাদে সেই ঘরে মেয়েকে নিয়ে চলে যায় রুমা। পরিবারের সদস্যদের অনুমান, সেখানেই মেয়েকে নিয়ে নিজের গায়ে আগুন দেয় রুমা। এদিকে ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ঘরের সামনে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা ও জানলা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে মা এবং মেয়ের দগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনায় আগুনের তীব্রতায় ঘরের অধিকাংশ আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এরপর সেখান থেকে দু’জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রুমা এবং তাঁর মেয়ে রিয়াকে মৃত ঘোষণা করে।
রুমার মাসি পার্বতী মাহাত বলেন, সকালে কাজে বের হওয়ার সময় দেখে গেলাম সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে। এসে দেখি এই সর্বনাশ ঘটে গিয়েছে। কীভাবে হল কিছু বুঝতে পারছি না। স্বামী মারধর করত বলে রুমা গত সোমবার বাপেরবাড়ি চলে আসে। অন্যদিকে রুমার বাপেরবাড়ি এলাকার এক প্রতিবেশী পম্পা পাল বলেন, আমাদের কয়েকটি বাড়ি পড়ে রুমাদের বাড়ি। এদিন আমি উঠোনে বসে রান্না করার সময় দেখি কালো ধোঁয়া পাক খেয়ে উপরে উঠছে। প্রথমে ভেবেছি কারও বাড়িতে আগুন লেগেছে। তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে দেখি এই ঘটনা। এরপর সকলে মিলে দরজা ভেঙে বালতি করে জল এনে ঘরের মধ্যে ঢেলে ভিতরে ঢুকি। ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, ওরা দু’জন সেখানে পড়ে রয়েছে। সেই সময় ওদের দু’জনের শরীরের বেশিরভাগটাই পুড়ে গিয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে ওর অশান্তি ছিল। স্বামী ওকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল বলেও শুনেছি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে আত্মহত্যা করেছে বলেই আমাদের মনে হয়। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।