কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পূর্ব বর্ধমান সহ বাঁকুড়া, বীরভূম এবং হুগলি জেলার একাংশ মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে শিশুর জন্মের পর হাসপাতাল থেকে একটি নথি দেওয়া হতো। সেখানে শিশুর বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা প্রভৃতি লেখা থাকত। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর নাম রাখা হলেও হাসপাতালের কাগজে শিশুর নামও লেখা থাকত। পুরসভা এলাকার বাসিন্দারা হাসপাতালের ওই নথি পুরসভায় জমা দিতেন এবং পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা নিজের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিতেন। তারপর পুরসভা ও পঞ্চায়েত হাসপাতালের নথি অনুযায়ী শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করত। তবে, বর্তমানে এই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুর জন্ম হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করছে। এখন আর পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েতে যেতে হচ্ছে না। বছর দু’য়েক ধরে এই পরিষেবা চালু হয়েছে।
পুরসভা ও পঞ্চায়েত থেকে ইস্যু করা কোনও শিশুর বার্থ সার্টিফিকেটে ভুল থাকলে তা সংশোধন করার জন্য ওই শিশুটি যে হাসপাতালে জন্মেছিল, সেখান থেকে সংশোধনের নতুন নথি করিয়ে নিয়ে আসতে হয়। দু’বছর আগে জন্ম নেওয়া শিশুর জন্যও বাবা-মায়েরা হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে দু’বছরের মধ্যে যাদের জন্ম হয়েছে, সেই সার্টিফিকেট সংশোধনেও হাসপাতালে যাচ্ছেন তাঁরা। ৫-১০ বছর আগে জন্মানো শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট নিতেও অনেকে হাসপাতালে দৌড়ালেও সেই সংখ্যাটা অবশ্য কম। সংশোধনের জন্যই ভিড় জমছে বেশি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে অসমের কিছু বাসিন্দার সন্তান জন্ম নিয়েছে। সাত-আটমাস আগে তাদের বাবা-মায়েরাও পুরনো নথি নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁদের শিশুরা যে সত্যিই এই হাসপাতালে জন্মেছে, তা সার্টিফায়েড করিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা বলেন, স্কুলে ভর্তির সময় অনেক শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট সংশোধন করানোর জন্য বাবা-মায়েরা আগে আসতেন। তবে, সেই সংখ্যাটা খুবই কম ছিল। কিন্তু, সম্প্রতি বার্থ সার্টিফিকেট সংশোধনের সংখ্যাটা অনেকে বেড়েছে। ৫-৭ বছরের পুরনো সংশোধনও আসছে। তবে, আমরা প্রতিটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। পুরনো নথি খতিয়ে দেখে দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে।