বিএনএ, বাঁকুড়া ও আরামবাগ: মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সুষ্ঠুভাবেই ইংরেজি পরীক্ষা শেষ হল। তবে মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বসেই ইংরেজি পরীক্ষা দিল পখন্নার মানস দাস। পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পখন্না আদকপাড়ার মানস এবার পখন্না হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। বড়জোড়া হাইস্কুলে তাদের সেন্টার পড়েছিল। মঙ্গলবার প্রথম ভাষার পরীক্ষা দিয়ে সে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফেরে। মানসের বাবা বাদল দাস বলেন, রাতে পড়াশোনার পর সাড়ে ৯টা নাগাদ অন্যান্য দিনের মতোই ও রাতের খাবার খায়। তার কিছুক্ষণ পরেই মানসের বুকে ব্যথা শুরু হয়। বুকের যন্ত্রণা বাড়লে তাকে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে ভর্তি করে নেন। এদিন সকালে পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, মানসকে অবজারভেশনে রাখতে হবে। তারপরেই ঘটনার কথা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়কে জানাই। তাঁরাই এরপর সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন।
অলকবাবু বলেন, মানসের অসুস্থতার কথা শুনে বিডিও, পুলিস, প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দোতলার একটি ঘরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এই কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
এদিকে, বুধবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় অটো থেকে পড়ে গিয়ে এক প্রতিবন্ধী ছাত্র জখম হয়। পুরশুড়া এলাকার ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপর পুলিস তাকে উদ্ধার করে পুরশুড়া শ্রীরামপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। তবে কালীপদ চক্রবর্তী নামে শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রের গুরুতর আঘাত না লাগায় সে পরে নিজের পরীক্ষা নিজেই দেয়।