কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
’৫২-এর ভাষাশহিদ আবুল বরকতের জন্মভিটে ওই গ্রাম। ১৯৮০এর দশক থেকে সেখানে শহিদ স্মরণসভা হয়ে আসছে। ৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে সেখানে বড় আকারে স্মরণসভা হয়। সেসময় দু’-তিনদিন ধরে অনুষ্ঠান চলত। পরে সিপিএম ও কংগ্রেস আলাদাভাবে মঞ্চ তৈরি করে স্মরণসভা করতে থাকে। ২০১৬সাল থেকে সেখানে একচেটিয়াভাবে তৃণমূল স্মরণসভা করছে।
বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বাম সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গ্রামে এসেছেন মন্ত্রীরা। সুভাষ চক্রবর্তী থেকে ক্ষিতি গোস্বামীরা বারবার এসেছেন। কংগ্রেসের মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, অধীর চৌধুরীর মতো বহু নেতা এসেছেন। গালভরা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। কখনও বাবলা-কলকাতা সরকারি বাস পরিষেবা, কখনও আবার শহিদের নামে গ্রামে খেলার মাঠ তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। অধীর চৌধুরী রেল প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ব রেলের স্থানীয় মালিহাটি স্টেশনকে শহিদের নামে করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। জলট্যাঙ্ক তৈরির আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সামশের শেখ, সামসুল হুদা, নৈমুদ্দিন ইসলাম প্রমুখ বলেন, প্রায় ২০বছর ধরে এখানে বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলের নেতারা আসছেন। স্মরণসভার নামে জাঁকজমক করে অনুষ্ঠান চাই না, ওই টাকায় আমাদের গ্রামের উন্নয়ন করা হোক। গ্রামের উন্নয়ন হলে তবেই শহিদের মর্যাদা দেওয়া হবে। এখানকার মানুষের কথা ভেবে সাধারণ পরিষেবাগুলি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
এবছর ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে আসার কথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সংসদ সদস্য আবু তাহের খান থেকে জেলার কয়েকজন বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্যদের। সুযোগ পেলে গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের দাবিগুলি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন। এবার স্মরণসভার আয়োজন কমিটির সম্পাদক তথা ভরতপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন বলেন, বাম-কংগ্রেস নেতারা অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সরকারের কেউ প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ করা হয়। বাসিন্দাদের দাবি মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।