কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
স্বামী মারা যাওয়ার পর মূক ও বধির মেয়েকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েন রেজিনা বেওয়া। বিড়ি বেঁধে কোনওরকমে সংসার চালান তিনি। জসমিনা পড়াশোনার জন্য মায়ের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি না করে নিজেই বিড়ি বেঁধে পড়াশোনা চালিয়ে এসেছে। তার লক্ষ্য, পড়াশোনা শিখে নিজের পায়ে দাঁড়ানো। তার এই জেদ দেখে গৃহশিক্ষকও তাকে বিনা বেতনে পড়িয়ে এসেছেন। রেজিনা বেওয়া বলেন, আমার যত চিন্তা মেয়েকে নিয়ে। মেয়ে পড়াশোনায় খারাপ নয়। তবে, বোবা ও কানে শুনতে পায় না। তাই অসুবিধা তো হতোই। সব বাচ্চারা জোরে জোরে পড়তো। ও তা পারে না। তাই অভাবের সঙ্গে আক্ষেপও রয়েছে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার না থাকলে হয়তো জীবনটাই ভেসে যেত। বিপিএল তালিকাভূক্ত হওয়ায় রেশনে চাল, গম, তেল পাই। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে মেয়ে মাসে হাজার টাকা ভাতা পেয়ে আসছে। তারপরও মেয়ে বিড়ি বেঁধে পড়াশোনা চালিয়ে আসছে। জানি না এভাবে সে কতদুর পড়াশোনা চালাবে। তবে, ওর চোখে-মুখে স্বপ্ন রয়েছে। ছাত্রীটির সাফল্য কামনা করেছেন তার স্কুলের শিক্ষকরাও।