কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী আর্থিক বর্ষেও এই প্রকল্পে স্থায়ী সম্পদ তৈরির দিকে জোর দেওয়া হবে। জেলায় মিয়াওয়াকি ফরেস্ট, হাঁস, মুরগির পোলট্রি, মাগুর, কই মাছ চাষ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে আরও জোর দেওয়া হবে। চলতি আর্থিক বর্ষে এই প্রকল্পে সাগরদিঘি ব্লকে আপেল বাগান তৈরি হয়েছে। কাশ্মীরে কাজ করা এখানকার শ্রমিকদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাগান তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে আপেল গাছ রোপণ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া ম্যাঙ্গো পার্কও তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির আমের গাছ সেখানে রয়েছে। ২০২০-’২১ আর্থিক বর্ষেও এই ধরনের প্রকল্পে জোর দেওয়া হবে। হাঁস এবং মুরগি চাষ বাড়িয়ে গ্রামের অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে সাত হাজার ২৫০টি হাঁস এবং মুরগির পোলট্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে ৫০টি মুরগি দেওয়া হবে। বেলডাঙা-১ ব্লকে ৩৭৭, বেলডাঙা-২ ব্লকে ৩১৯, বহরমপুরে ৪৯৩, ভগবানগোলা-২ ব্লকে ১৭৪, ভগবানগোলা-১ ব্লকে ২৩২, ভরতপুর-১ ব্লকে ২৩২, ভরতপুর-২ এ ২০৩, বড়ঞায় ৩৭৭, ডোমকলে ২৬১, ফরাক্কায় ২৬১, হরিহরপাড়ায় ২৯০, জলঙ্গিতে ২৯০, কান্দি ২৯০, খড়গ্রামে ৩৪৮, লালগোলায় ৩৪৮, মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জে ২৩২, নবগ্রামে ২৯০, নওদায় ২৯০, রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকে ১৭৪, রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকে ২৯০, রানিনগর-১ এ ১৭৪, রানিনগর-২ এ ২৬১, সাগরদিঘিতে ৩১৯, সামশেরগঞ্জে ২৬১, সূতি-১ ব্লকে ১৭৪ এবং সূতি-২ ব্লকে ২৯০টি পোলট্রি তৈরি হবে। সব ব্লকে ইউনিটগুলি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি ছোট ছোট গর্ত করে মাগুর মাছ চাষেও জোর দেওয়া হয়েছে। এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এই কাজে লাগানো হয়েছে। ব্লকের এক আধিকারিক বলেন, ১০০দিনের কাজে আগে পুকুর সংস্কার বা রাস্তা তৈরির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু জেলায় এখন স্থায়ী সম্পদ বেশি তৈরি হচ্ছে। এতে এলাকার লোকজন উপকৃত হবেন। কোথাও আপেল বা আমের বাগান তৈরি হলে সেখানে সারা বছর ধরেই কাজ করা যাবে। এছাড়া হাঁস, মুরগি চাষ করেও ভালো লাভ পাওয়া যায়। ১০০দিনের কাজ প্রকল্পে এখন বেশ কিছু ব্লকে সার তৈরির প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। সেটাও চাষিদের কাজে লাগবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১০০দিনের কাজে অনিয়ম রুখতেও জেলা প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও তারপরও বেশ কিছু জায়গা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। তবে আগের তুলনায় অনিয়ম অনেকটাই কমেছে বলে আধিকারিকদের মত। আগামী আর্থিক বর্ষে অনিয়মের রাশ টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।