কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, এদিন জেলাজুড়ে নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দুবরাজপুরের এক ছাত্রী কুয়োয় পড়ে যাওয়ায় সে পরীক্ষায় বসতে পারেনি। পরীক্ষা শুরু সময় তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়ায় সে দুর্ভাগ্যবশত বসতে পারেনি।
অন্যদিকে, পরীক্ষা শেষের ৪০মিনিট আগে রামপুরহাটে হোয়াটস অ্যাপে একটি প্রশ্নপত্র ঘুরতে দেখা যায়। পরীক্ষা শেষে সেই প্রশ্ন হুবুহু মিলে যায়। ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে অভিভাবকদের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তবে, সেই খবর অস্বীকার করেছে পর্ষদ। প্রসঙ্গত, জেলায় কয়েকটি ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি-১, ২, খয়রাশোল, ইলামবাজার, ময়ূরেশ্বর-১, ২ প্রভৃতি ব্লকে পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যদিও জেলাশাসকের দাবি, ইন্টারনেট বন্ধ রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সেইমতো সার্ভিস প্রোভাইডারদের বলা হয়েছিল। কিন্তু, এদিন সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়নি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর অবশ্য অস্বীকার করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বীরভূম জেলার আহ্বায়ক সন্দীপ মিশ্র বলেন, এদিন বাংলা পরীক্ষা নির্বিঘ্নে মিটেছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রামপুরহাটে হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, এদিন মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য তৃণমূলের তরফে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে আইএনটিটিইউসির তরফে ক্যাম্প করা হয়। সেই ক্যাম্প থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিনা খরচে টোটোতে চাপিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। এদিন জেলার অন্যান্য স্কুলের বাইরেও ক্যাম্পে তৃণমূল অভিভাবকদের জল, চায়ের ব্যবস্থা করে বলে দাবি। সংগঠনের সিউড়ির সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বলেন, এদিন বিধায়ক, সংগঠনের জেলা সভাপতি ক্যাম্প অফিসে পরিষেবা দেখে গিয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের জন্য এদিন ১০০টি টোটোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাছাড়া জল, পেনও দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, রামপুরহাটেও তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে ক্যাম্প করা হয়। সেখানে এদিন অভিভাবকদের পানীয় জল বিতরণ করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, এদিন বীরভূম জেলা পুলিসের উদ্যোগেও পরীক্ষার্থীদের জল, পেন দেওয়া হয়। সিউড়ির অরবিন্দ ইনস্টিটিউট ফর সাইটলেসের তিন ছাত্রকে এদিন পুলিস গাড়িতে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। এদিন জেলার অন্যান্য থানাতেও একইভাবে পুলিস পরীক্ষার্থীদের জল, পেন দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। এছাড়া বিভিন্ন শহরগুলিতে পরীক্ষার আগে যান নিয়ন্ত্রণ করতে নো-এন্ট্রি করে দেওয়া হয়। এদিকে, এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সাহায্যে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে পেল মল্লারপুর গার্লস স্কুলের এক পরীক্ষার্থী। এদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তার পরীক্ষা কেন্দ্র মল্লারপুরের ধরণীদেবেন হাইস্কুলে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু, অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে আসতে ভুলে যাওয়ায় কী করবে ভেবে উঠতে না পেরে সে হল থেকে বেরিয়ে আসে। তাকে ইতস্তত অবস্থায় ঘুরতে দেখে এগিয়ে আসেন ডিউটিরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি বিষয়টি শুনে তড়িঘড়ি ছাত্রীকে বাইকের পিছনে চাপিয়ে মল্লারপুর গালর্স স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড তুলে ফের ওই ছাত্রীকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেন।