বিএনএ, বহরমপুর: বহরমপুরে অভিজ্ঞ নেতাদের ভোটে দাঁড় করিয়ে কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শহর তৃণমূল। ইতিমধ্যেই শহরের ‘সিনিয়র’ নেতাদের কাছে সেই প্রস্তাব যেতে শুরু করেছে। তাঁদের কেউ কেউ প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন আবার কেউ কেউ এখনও কোনও মতামত দেননি। তাঁরা বেশিরভাগই জেলাস্তরের নেতা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে শহরের নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বহরমপুর শহরে অনেক অভিজ্ঞ নেতা রয়েছে। তাঁরা দীর্ঘসময় কংগ্রেসে থেকে ভোট পরিচালনা করেছেন। তাই তাঁরা তৃণমূলের প্রতীকে ভোটে লড়লে দলের পক্ষে ভালো হবে। তাঁরা কংগ্রেসের সমস্ত ভোট কৌশল জানেন বলে নেতৃত্বের একটা বড় অংশ মনে করছেন।
দলের অন্যতম প্রবীণ নেতা অশোক দাস বলেন, প্রার্থী হতে আমার অসুবিধা নেই। কংগ্রেসকে হারানো আমার একমাত্র লক্ষ্য। শহরে উন্নয়ন করার জন্যই প্রার্থী হব। বহরমপুর শহরের তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রবীণ নেতারা ভোটে দাঁড়ালে দলের কর্মীরাও উৎসাহিত হবেন। আশা করি সবাই এই প্রস্তাব মেনে নেবে।
প্রসঙ্গত, বহরমপুর পুরসভার ভোট পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। জেলা সভাপতি আবু তাহেরও সেই কমিটিতে রয়েছেন। পুরভোটের প্রস্তুতি নিতে তাঁরা বৈঠকও করেছেন। মঙ্গলবার জেলার প্রতিটি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং দলের নেতাদের কলকাতায় ডেকে পুরভোটের জন্য বেশ কিছু টোটকা দিয়েছেন জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ বাড়াতে পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক করার জন্য তিনি বলেছেন। গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেওয়াল লিখনের কাজও শুরু করে দিতে বলেছেন।
বহরমপুরের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শহরে দেওয়াল দখলের কাজ আগে হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী ঘোষণা হলেই তাঁদের নাম লেখা হবে। অভিজ্ঞ নেতারা প্রার্থী হলে প্রচারেও সুবিধা হবে। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, লোকসভা ভোটে দল শহরে পিছিয়ে রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলকে জেতানোর জন্য সমস্ত অভিজ্ঞ নেতাদের প্রার্থী হওয়া উচিত। তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা কেমন সেটাও প্রমাণ হয়ে যাবে।