পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জনবহুল পারুলিয়া বাজারে ব্যানার্জি মার্কেটের উল্টো দিকে একটি তিনতলা বাড়িতে থাকতেন ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। বৃদ্ধের নাম ধীরেন চন্দ্র পাল(৮২) ও বৃদ্ধার নাম কাজলরানি পাল (৭৬)। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কর্মসূত্রে দুই ছেলেই বাইরে থাকেন। মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁরা তেমনভাবে মিশতেন না। কয়েক বছর ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন ওই বৃদ্ধ। কথা বলতে পারছিলেন না। ছেলেমেয়েরা ওই বাড়িতে তেমনভাবে আসতেন না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বৃদ্ধা একাই স্বামীর সেবা করতেন। নীচের তলার একটি ঘরে থাকতেন দু’জনে। বৃদ্ধা বাইরে কোথাও গেলে স্বামীর ঘরে তালা বন্ধ করে যেতেন। কিছুদিন ধরেই বৃদ্ধাকে রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছিল না। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দা মানিক দেবনাথ ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান। বিষয়টি তিনি কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বাজারে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারকে জানান। পুলিস উপরের ঘরে পড়ে থাকা বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তাঁর মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত বেরিয়েছিল। পুলিসের অনুমান, সম্ভবত বৃদ্ধকে নীচের ঘরে তালা বন্ধ করে উপরের ঘরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। নামার সময় কোনওভাবে পা পিছলে মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলেন। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে বৃদ্ধ অভুক্ত অবস্থায় পাঁচদিন ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল দাস বলেন, ওঁরা এলাকায় কারও সঙ্গে মিশতেন না। ছেলে-মেয়েদেরও তেমন খোঁজ খবর নিতে আসতে দেখিনি। পারুলিয়া ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি তথা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে-মেয়েরা বাইরে থাকেন। আমরা এক ছেলের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে খবর পাঠিয়েছি।