পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ পদাধিকার বলে তামুলের চেয়ারম্যান। ২০১৩সালে ১৬সেপ্টেম্বর রেগুলেটেড মার্কেট কমপ্লেক্স চত্বরে শহিদ মাতঙ্গিনী স্বদেশি বাজারে তামুলের অফিসের উদ্বোধন হয়। এই মুহূর্তে তামুলের এমডি হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কাঁথির ভেটেরেনারি রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডঃ বিষ্ণুপদ মান্না। এছাড়াও তামুলের একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, একজন ফুড টেকনোলজিস্ট এবং আটজন শ্রমিক ঠিকাকর্মী আছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভগবানপুর-১ ও ২, কাঁথি-১, দেশপ্রাণ ও কাঁথি-৩, এগরা-২, পটাশপুর-২, রামনগর-১ ও ২, সুতাহাটা ও ময়না ব্লক থেকে মিল্ক সোসাইটির মাধ্যমে তামুলের দুধ সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু, একটা সময় দৈনিক ৩৫০০লিটার দুধ সংগ্রহ হলেও এখন সেটা ২৫০০লিটারের নীচে নেমে গিয়েছে। গত বছর রাজ্য সরকার প্রাণিপালকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা দুধের দাম লিটার পিছু ৬টা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেও এখনও তা কার্যকর করেনি। আর তার ফলেই এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে তামুলের এমডি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
এই মুহূর্তে তামুলের কর্মীদের মাইনে, পরিবহণ খরচ এবং চাষিদের দুধের টাকা মেটানোর মতো অর্থ নেই। আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া কোনও অবস্থাতেই তামুলকে চালানো সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তামুলের দুধ সংগ্রহ করার পর কাজলাগড় এবং ঘাটুয়ায় দু’টি চিলিং প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুধ চলে যায় সরাসরি মাদার ডেয়ারিতে(ডানকুনি ইউনিট)। দুধের অভাবে জেলায় সাউথ খণ্ডে ৩ নম্বর চিলিং প্ল্যান্ট আপাতত বন্ধ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, পরিবহণ খরচ জোগাতে না পারার কারণে এখন দু’দিন অন্তর একবার করে ট্যাঙ্কের সাহায্যে দুধ মাদার ডেয়ারিতে পাঠানো হচ্ছে।
তামুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে আছি আমরা। ১০দিন অন্তর দুধের দাম পেমেন্ট করা হতো। এখন সেটাও করতে পারছি না। আগের এমডি অনেক ধার দেনা করে গিয়েছেন। সেসব মেটাতে গিয়ে একেবারে নিঃস্ব অবস্থা। অফিসভাড়া বাবদ ১লক্ষ ৪৪হাজার টাকা মকুব করার জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেছি। এখন দুধের সংগ্রহ কমছে। মাদার ডেয়ারির কাছে দুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে খরচ, সেটাও জোগাড় করতে পারছি না। তাই দু’দিন অন্তর একবার করে ট্যাঙ্ক যাচ্ছে। এভাবে চালানো সম্ভব নয়। তাই আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে।