রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। দু’বছর ধরে সম্পর্ক থাকার পর ওই যুবতী যুবককে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ওই যুবক প্রথম দিকে বিয়েতে রাজি থাকলেও তার পরিবারের লোকজন এই সম্পর্ক মানতে চায়নি। যুবতী বিয়ের জন্য জোরাজুরি করতেই তাঁকে মেরে ফেলার ছক কষা হয়। ১৯বছরের ওই যুবতী নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর বাড়িতেই থাকতেন। ওই যুবক তাঁদের বাড়িতেও বেশ কয়েকবার এসেছিল। কয়েকদিন আগেও গিয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় তাদের এক সঙ্গে ঘুরতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও তার পরিবারের লোকজন বিয়েতে রাজি ছিল না।
ওই যুবতীর দিদি বলেন, বোনকে ঘরে ঢুকিয়ে ওরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। খুন করার উদ্দেশ্যেই তারা আগুন ধরিয়েছিল। ওদের কঠোর সাজা হওয়া দরকার। বিয়ের জন্য আমরা ওদের পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা বিয়ে দিতে রাজি ছিল না। অথচ ওই যুবক দীর্ঘদিন ধরেই বোনের সঙ্গে মেলামেশা করছিল। সেকারণে বোন ওকেই বিয়ে করতে চেয়েছিল। পরে ওই যুবক বিয়ে করবে বলে বোনকে জানিয়েছিল। সেই মতো এদিন সকালে বিয়ের কথা বলার নাম করে বোনকে ওদের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। ওরা আগে থেকেই বোনকে মেরে ফেলার ছক কষেছিল। বোন বাড়িতে যেতেই পরিবারের সব সদস্য মিলে ওঁর হাত এবং পা চেপে ধরে মুখে ফিনাইল ঢেলে দেয়। পরে গায়ে আগুন দিয়েছিল।
পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবতীর শরীরের উপরের অংশ পুড়ে গিয়েছে। মুখমণ্ডলের বিভিন্ন অংশও দগ্ধ হয়েছে। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার কারণেই তাঁকে মেরে ফেলার ছক করা হয়েছিল। ওই যুবক রাজমিস্ত্রির কাজ করে। ঘটনার পর থেকে সে ফেরার রয়েছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও চম্পট দিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই যুবতী এর আগেও যুবকের বাড়িতে এসেছিল। মাঝে অশান্তি হয়েছিল। এদিন সকালে হঠাৎ করেই আর্তনাদের শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। ওই যুবতীর পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। ততক্ষণে অভিযুক্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক প্রথমদিকে বিয়ের জন্য রাজি থাকলেও পরে বাড়ির চাপে সে পিছু হটে। তবে এদিন ঘটনার সময় সে বাড়িতেই ছিল।