কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, লাভপুর থানার পাঁচপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নীলকান্ত বাগদি সোমবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। বেশ কয়েক মাস ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। এদিন সকালে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাঁকে লাভপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রোগীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এদিন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে দেখে যাওয়ার পর যে নার্স দায়িত্বে ছিলেন, তিনি তাঁর কর্তব্য ঠিকমতো পালন করেননি। রোগীর ছেলে ও মেয়ের দাবি, তাঁদের বাবার শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তাঁরা নার্সকে গিয়ে জানান। কিন্তু সেই সময় নার্স তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে ফের নার্সকে ডেকে পাঠানো হলে অক্সিজেন মাস্ক ঠিকভাবে না পরিয়ে চলে যান। এদিন দুপুরে নীলকান্তবাবু মারা যান।
রোগী মারা যাওয়ার পরই গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনার জেরে পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে অভিযুক্ত নার্স হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।
নীলকান্তবাবুর ছেলে সন্তোষ বাগদি বলেন, বাবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়ায় ভালো চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে চূড়ান্ত গাফিলতির ফলে বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
অন্যদিকে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তীর্থঙ্কর চন্দ্র বলেন, রোগীর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। হাসপাতালের সব রোগীকে সমান গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। রোগীর পরিবারের সদস্যরা ভুল অভিযোগ করছেন।