কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। ভারতের মোট ৫৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। বাংলার হয়ে এই প্রতিযোগিতার অন্যতম সফল অপু সাহা। এর আগেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে এই খেলায় একাধিকবার পদক জয় করেছেন অপু।
অপুর সফল হওয়ার পিছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম ও মনের শক্তি। সমস্ত রকম প্রতিকূলতা কাটিয়ে মনের জোরে তিনি সফল হয়েছেন। একটা সময় বর্ধমানের কাটোয়া বাজারে সব্জি বিক্রি করতে যেতেন অপু। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। অপু বলেন, আরচি চন্দ্র আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। কাটোয়ায় একটি ক্লাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। জেলা, রাজ্য স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। সফলতাও মিলেছে।
২০১৪ সালে পাঞ্জাবে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন অপু। তারপর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে পদক জয় করেন। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সফল হন। তবে তার আগে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েন। প্রতিকূলতা কাটিয়ে সেখানে যান। তিনি বলেন, প্রথম হতে না পারায় খারাপ অবশ্যই লাগছে। প্রথম স্থানাধিকারীর বাড়ি রাজস্থানে। আর দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সিকিমের বাসিন্দা।