পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আরামবাগের এসডিও লক্ষ্মী বি তান্নিরু বলেন, ওই বেসরকারি স্কুলের বিষয়টি সরাসরি আমার অধীনে পড়ে না। অভিভাবকরা তাঁদের সমস্যার কথা আমাকে জানাতে এসেছিলেন। আমি তাঁদের বিষয়টি লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছি। ওই অভিযোগপত্রটি জেলা-প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই বেসরকারি স্কুলে কয়েকদিন আগে অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল। যে কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার করার জন্য আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক করা যায়, সেবিষয়ে চেষ্টা চলছে।
অভিভাবক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লিতে মিশনারি এই স্কুলটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে স্কুলে প্রায় ৪৮০ জন পড়ুয়া, ১৫ জন শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার স্কুলের দুই গোষ্ঠীর সন্ন্যাসীদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। পরবর্তীতে স্কুল গেটের বাইরে এক সন্ন্যাসীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন ওই স্কুলের অপর এক সন্ন্যাসী। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অভিভাবকরা। তারপর আবারও এদিন হঠাৎ করে স্কুল চারদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবক আশিস পাত্র বলেন, স্কুলের সন্ন্যাসীদের নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আমার সন্তান কার্যত আতঙ্ক রয়েছে। বারবার সে বলছে, স্কুলের স্যাররা মারামারি করছে। তাই স্কুলে যাব না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কোনও কিছু না জানিয়ে চার দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মধুসূদন বাগ নামে স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, স্কুলের শিক্ষক ও সন্নাসীদের একাংশ স্কুল পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অনিয়ম করছে। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই ওরা আমাকে স্কুল থেকে সরানোর চেষ্টা করছিল। স্কুলের অনিয়মের খবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ায় তাঁদের পক্ষ থেকে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সন্ন্যাসী এসেছিলেন। কিন্তু, তাঁকেও শনিবার দিন স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করে স্কুলের অপর এক সন্ন্যাসী। এটা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয়।
এদিকে, এদিন ১০টা নাগাদ পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে এসে স্কুল বন্ধ থাকার নোটিসটি নজরে আসে অভিভাবকদের। তাতে লেখা রয়েছে, স্কুলের শিক্ষককে অভিভাবকদের একাংশের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে। সেই ঘটনার কারণে স্কুল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত। যদিও এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও রকম কথা বলতে চাননি।
স্থানীয় গৃহবধূ স্নিগ্ধা ঘোষাল বলেন, আগে স্কুলের পরিবেশ এমন ছিল না। বর্তমানে স্কুল কর্তৃপক্ষের নিজেদের মধ্যে অশান্তি চলছে। যে কারণে পড়ুয়াদের হয়রান হতে হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে, আগামী দিনে এলাকা থেকে স্কুল উঠিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা জোট বদ্ধ হব।