কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, সরকারি একটি সংস্থায় চাকরির জন্য কারও কাছে এক লক্ষ আবার কারও কাছে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছিল। বিভিন্ন জেলায় সে রীতিমতো এজেন্ট ছেড়ে রেখেছিল। তারা বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার হাতে তুলে দিত। সেই এজেন্টরাও তার কাছে প্রতারিত হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছে। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও মালদহ, উত্তর দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জেলার যুবক-যুবতীদের সে প্রতারণা করেছে। অনেকে জমি বিক্রি করেও টাকা দিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, বিজ্ঞাপন দেখে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ওর হাতে আমি ৯০লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলাম। এলাকার যুবক-যুবতীরা চাকরি পাওয়ার আশাতেই আমাকে টাকা দিয়েছিল। আমি সব টাকাই ওকে দিয়েছি। কিন্তু, ২০০৯সালের পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও কেউ চাকরি না পাওয়ায় বুঝতে পারি, ওই ব্যক্তি প্রতারক। ওর কাছে টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে ও আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করে। টাকা ফেরত না পাওয়া গেলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কিছু করার থাকবে না।
ওয়াদুল ইসলাম নামে মালদহের এক যুবক বলেন, ও বলেছিল তার সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করছে। সেখানে কিছু লোক নেওয়া হবে। তবে কাজে ঢুকতে হলে টাকা দিতে হবে। সরকারি চাকরির আশায় ওকে টাকা দিয়েছিলাম।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির বেলেঘাটায়, বর্ধমানে ও দিল্লিতে ফ্ল্যাট রয়েছে। পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।