বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবারের তুলনায় এবছর ভেনুর সংখ্যা বেড়েছে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেন ভেনু থাকছে ১২৫টি। সাব ভেনুর সংখ্যা ১১। সব মিলিয়ে মোট ১৩৬ টি ভেনু রয়েছে। ২০১৯ সালে মেন ভেনু ছিল ১২১টি। সাব ভেনু ছিল ১৪টি।
জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সেগুলি অনেক আগেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে তাদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে ক্যাম্প করা হয়েছে। কোনও ছাত্রছাত্রী সমস্যায় পড়লে ওই ক্যাম্পগুলিতে যোগাযোগ করা মাত্র পুলিসকর্মীরা সহযোগিতা করবেন। এছাড়া কোনও ছাত্র বা ছাত্রীর পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে সমস্যা হলে তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য বহরমপুর শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শহরে ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হবে না।
জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য শিক্ষা দপ্তর সব রকম ব্যবস্থা করেছে। আশা করা যায়, সুষ্ঠুভাবে সব কিছু শেষ হবে। জেলায় কন্ট্রোল রুমও থাকছে। সেখান থেকেও নজরদারি চালানো হবে।
মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য জেলার বিভিন্ন শহরে ট্রাক বা লরি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সমস্ত এলাকাতেই পুলিসের ক্যাম্প থাকছে। ছাত্রছাত্রীরা যে কোনও সময় ক্যাম্পগুলিতে যোগাযোগ করতে পারে। তাদের সব রকমভাবে সহযোগিতা করা হবে।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিগত বছরের মতো এবারও সমস্ত বিধিনিষেধ লাগু থাকবে। পরীক্ষার হলে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশে জেরক্সের দোকান বন্ধ থাকবে। কোনও ধরনের লাউড স্পিকার পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে বাজানো যাবে না। যেসমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি আধিকারিকরাও নজরদারি চালাবেন। ব্লু টুথ বা অন্যান্য ইলেক্ট্রিক যন্ত্রাংশ নিয়েও পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরেই জেলায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীরা বেশি সংখ্যায় পরীক্ষা দিচ্ছে। এক সময় এই জেলায় বহু ছাত্রীর পড়াশোনা চতুর্থ শ্রেণীর গণ্ডিতে আটকে যেত। কিন্তু, এখন সেই প্রবণতা কমেছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী এবং ঐক্যশ্রীর মতো প্রকল্পগুলির জন্যই মেয়েরা পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। জলঙ্গি, রানিনগর, রঘুনাথগঞ্জ, সূতি সহ বিভিন্ন এলাকাতেই এই ছবি দেখা যাচ্ছে। আগামী দিনে ছাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। প্রসঙ্গত, কন্যাশ্রী এবং ঐক্যশ্রী প্রকল্পে মুর্শিদাবাদ অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ঐক্যশ্রী প্রকল্পে এই জেলা রাজ্যে সেরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিসকর্মীরাও থাকবেন। তাছাড়া পরীক্ষার্থীরা যাতে যানজটের মধ্যে না পড়ে তারজন্য রাস্তায় ট্রাফিক পুলিসের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা ২৭ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। মুর্শিদাবাদের ডিআই অমর শীল বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি আধিকারিকরা পরিদর্শন করবেন। পর্ষদের যেসব নির্দেশ রয়েছে সেগুলি মেনে চলা হবে।