রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নবাবি আমলের নানা নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। হাজারদুয়ারি, ইমামবাড়া, কাটরা মসজিদ সহ একাধিক স্থাপত্য নিদর্শনের সঙ্গে তৎকালীন জমিদারদের প্রাসাদ, মন্দির রয়েছে। দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এই শহর। সারাবছরই পর্যটকরা আসেন। তবে শীতের মরশুমে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন। পর্যটকদের উপর নির্ভর করে শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা। অসংখ্য হোটেল ব্যবসায়ীর পাশাপাশি রয়েছেন টাঙ্গাচালক, গাইড, নবাবি ইতিহাসের বই বিক্রেতা সহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন। শীতের মরশুম এবং পুজোর সময়ে মাসখানেক পর্যটকের সংখ্যা বেশি হয় বলে ওই সময়ের দিকেই সকলেই তাকিয়ে থাকেন। অনেকের দাবি, মরশুম শেষ হতে চললেও গত কয়েক দশকে পর্যটনে শিল্পে এবারের মতো দুঃসময় আসেনি। রবিবার এবং বিশেষ দিন ও উৎসবের দিনগুলি ছাড়া পর্যটকদের দেখা নেই বললেই চলে। অন্যান্য দিনে পর্যটকরা এলেও সংখ্যাটা খুবই কম।
প্রায় ৪০বছর ধরে গাইডের কাজ করছেন রতন দাস। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর পর্যটকের সংখ্যা কম থাকলেও পুষিয়ে যেত। কিন্তু পুজো বা এবং শীতের মরশুমে পর্যটকের সংখ্যা দেখে চিন্তার পড়ছি। বয়স এবং দৈহিকভাবে সক্ষম থাকলে অন্য পেশায় চলে যেতাম। কিন্তু এই বয়সে কোথায় যাব, তাই বাধ্য হয়েই রয়ে গিয়েছি। টাঙ্গাচালক রশিদ শেখ বলে, শীতের সময়ে ভালো পর্যটক হয়। কিন্তু এবছরে প্রায় দিনই হাজারদুয়ারির পিছনের মাঠে ঠায় বসে থাকতে হচ্ছে। হোটেল ব্যবসায়ী সুপ্রিয় চৌধুরী বলেন, শীতের দু’মাসে দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়। দু’মাসে কয়েক লক্ষ পর্যটক ঘুরতে আসেন মুর্শিদাবাদে। ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লগ্নি করেন। এই সময়ে আমরা হোটেল রং করে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলি। এমনকী বেশি মাইনে দিয়ে কর্মী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু এবছর পর্যটকদের দেখা নেই। লাভ তো দূরের কথা, লগ্নির টাকা উঠবে কিনা তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
মুর্শিদাবাদ জেলা হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, শহর এভাবে পর্যটকশূন্য হতে আমি কখনও দেখিনি। শহরের বেশ কয়েকটি দোকান শীতের মরশুমে বন্ধ রেখেছে। এনআরসি নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় গণ্ডগোল এই পরিস্থিতির জন্য কিছুটা দায়ী।