কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পুরসভার পক্ষ থেকে নির্মিত দোকানঘরে তড়িঘড়ি রং করার কাজ শুরু হয়। এবং আগামী শুক্রবার লটারির মাধ্যমে তা বিলি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে বহু ক্ষোভ বিক্ষোভের পর দীর্ঘদিন বাদে দোকান ঘর বিলির খবর শুনে ব্যবসায়ীরা খুশি হয়েছেন। যদিও দোকানঘর এলাকায় পানীয় জল, শৌচালয় ও রাস্তা তৈরি করা হয়নি বলে তাঁদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন।
বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বরুণ দে বলেন, ঢিমেতালে নির্মাণকাজ চলায় আড়াই বছর ধরে ব্যবসায়ীরা বেকার হয়ে বসে রয়েছেন। ব্যবসা করতে না পেরে চরম আর্থিক অনটনে তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে। শীঘ্রই দোকানঘর বিলি করা হবে শুনেছি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়নি। কোথায় এবং কীভাবে লটারি হবে তাও আমরা জানি না।
বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, অর্থ সহ অন্যান্য একাধিক জটিলতার কারণে বাসস্ট্যান্ডে দোকানঘর তৈরিতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত তা বিলির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো আগামী শুক্রবার শিবরাত্রির দিন দোকানঘরগুলি বিলি করা হবে। প্রতিটি সারিতে পৃথকভাবে লটারি করে দোকানদের হাতে চাবি তুলে দেওয়া হবে। রাস্তা, পানীয় জল সহ অন্যান্য পরিকাঠামো শীঘ্রই তৈরি করা হবে।
উল্লেখ্য, রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নির্মাণ কাজের জন্য প্রায় আড়াই বছর আগে ১৩৮জন দোকানদার উচ্ছেদ হন। সেই সময় তাঁদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তার জন্য প্রাথমিকভাবে মোট ১কোটি ৪১লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধনের সময়েই নতুন দোকান ঘরের চাবি ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু, নির্মাণকাজে ঢিলেমির কারণে উদ্বোধনের পর দেড় বছর কেটে গেলেও তা বিলি করা হয়নি। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন। পরে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দোকানঘর নির্মাণে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করেন। কিন্তু, তার পরেও একই ভাবে ঢিমেতালে কাজ চলতে থাকায় সম্প্রতি বাঁকুড়া সফরে এলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্যবসায়ীরা এবিষয়ে অভিযোগ জানান। এবং প্রশাসনিক বৈঠকে পুরসভার চেয়ারম্যানকে এক সপ্তাহের মধ্যে দোকানঘর বিলির নির্দেশ দেন। সেই মতো আগামী শুক্রবার লটারির মাধ্যমে দোকানঘর বিলির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে উচ্ছেদ হওয়া মোটর মেকানিক নারায়ণ কাইতি বলেন, বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য আমাদের দোকান ভাঙা হয়েছে। তারপর আমরা অন্যত্র অস্থায়ী দোকান খুলে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছি। কবে দোকান পাব সেই নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। শুক্রবার বিলি হবে শুনে ভালো লাগছে।