কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
মন্ত্রীর দাবি, সিএএর নামে কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মীয় বিভাজন ঘটাতে চাইছে। তাই গরিব আদিবাসী পাড়া দিয়েই তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় এই কর্মসূচি শুরু করলেন। নিজের বিধানসভায় প্রতিটি আদিবাসী পাড়াতেই যাবেন। তারপর সাধারণ মানুষের বাড়িতেও যাবেন।
সিএএর বিরুদ্ধে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি জেলার প্রতি ব্লকের আদিবাসী সম্প্রদায়ের এবং তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিএএর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ নিজের এলাকায় আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে তাঁদের সঙ্গে থেকে সিএএর বিরুদ্ধে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত মতো রবিবার কালনা-১ ব্লকের মধুপুর আসিবাসী গ্রাম থেকে তিনি এই কর্মসূচি শুরু করেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ওই গ্রামে পৌঁছন মন্ত্রী। আদিবাসীরা পুষ্পবৃষ্টি করে তাঁকে স্বাগত জানান। গ্রামের বাবলু সোরেনের বাড়িতে তিনি রাত্রিবাস করেন। রাতে রুটি, বাঁধাকপির তরকারি ও ডিমের কারি রান্না হয়েছিল। মাটিতে বসে তিনি আদিবাসীদের সঙ্গে খাবার খান। সিএএর বিরুদ্ধে প্রচার করেন। গ্রামের শিল্প বিকাশের জন্য তিনি পাড়ায় বসে ধামসা ও মাদলও বিতরণ করেন। তারপর বাবলু সোরেনের বাড়িতেই খাটিয়ায় শুয়ে রাত্রিবাস করেন।
স্বপনবাবু বলেন, গরিব আদিবাসীরা সাত সকালেই কাজে চলে যান। সন্ধ্যায় ফেরেন। তাই রাতে ছাড়া তাঁদের সবার দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে তাঁদের থেকে রাত্রিবাস করেছি। তাঁদের সঙ্গে খেতে খেতেই কথা হয়েছে। আমি নিজের বিধানসভায় এভাবেই আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলব। কারণ, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে ধর্মীয় বিভাজন ঘটাতে চাইছে, তার বিরুদ্ধেই আমাদের এই প্রচার।
