পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
শুক্রবার কালনা থানার ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের কালীনগর, গ্রাম কালনা ও নান্দাই পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙা, নতুনগ্রাম, আইমাপাড়া, মির্জাপুর, হাতিপোতা, নান্দাই প্রভৃতি এলাকায় শতাধিক মানুষের মোবাইলে তাদের অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঢুকেছে বলে মেসেজ আসে। তাতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেকে এলাকার সিএসসি ও সিএসপি সেবা কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে বা সিস্টেমে ব্যালেন্স চেক করে দেখতে পান, সত্যি সত্যি তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। খবর চারিদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই ব্যাঙ্কে ভিড়ের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবারও বেশকিছু মানুষ অ্যাকাউন্ট চেক করে টাকা ঢোকার বিষয় জানতে পারেন। রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় সোমবার সকাল হতেই বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সামনে অ্যাকাউন্ট আপডেট করতে ও টাকা তুলতে লম্বা লাইন পড়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। যাঁদের টাকা ঢুকেছে, তাঁরা ব্যাঙ্কের আ্যাকাউন্ট চেক করে খুশি মনে বেরিয়ে আসেন।
ধাত্রীগ্রাম এলাকার একটি ব্যাঙ্কের আধিকারিক চন্দন কুমার বণিক বলেন, বহু গ্রাহক এদিন অ্যাকাউন্ট আপডেট করতে এসেছেন। টাকাও তুলেছেন। অনেকের অ্যকাউন্টে একটি বিমা কোম্পানি থেকে টাকা ঢুকেছে। কী কারণে ঢুকেছে আমরা তা অবশ্য আমরা বলতে পারব না।
সাফিরুল শেখ নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার অ্যাকাউন্টে ১৫ হাজারের কিছু বেশি টাকা ঢুকেছে। আমার মতো অনেকের অ্যাকাউন্টে ১০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঢুকেছে বলে জানতে পেরেছি। আরএক বাসিন্দা ইমরান আলি শেখ বলেন, আমার অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৭ হাজার টাকা ঢুকেছে। বাবার অ্যাকাউন্টেও ২২ হাজার টাকা ঢুকেছে। ব্যাঙ্কে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানান, বিমা কোম্পানি থেকে টাকা ঢুকেছে। তবে, এদিন যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তাঁদের অধিকাংশই চাষি। আমাদের অনুমান চাষের ক্ষতির জন্য বিমা কোম্পানি থেকে টাকা দিয়েছে। তবে ব্যাঙ্কে টাকা ঢোকার খবর পেয়ে অনেকেই সব কাজ ফেলে ব্যাঙ্কে ছুটে যাচ্ছেন।
এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের শষ্য বিমার ব্যবস্থা করেছেন। বিমার অর্থ সরকার বহণ করে। চাষিদের শষ্য বিমার ক্ষতির টাকাই চাষিরা পাচ্ছেন। তাঁদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাচ্ছে। যে সব চাষি ও ভাগচাষিরা আবেদন করেছেন তাঁরাই সকলেই টাকা পাচ্ছেন।