পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা কার্যালয় সীতারাম মাহাত ভবনে এসে তৃণমূলে যোগদান করেন ঝালদা-১ ব্লকের জেডপি ১৩ মণ্ডল সভাপতি শালিগ্রাম মাহাত। সম্প্রতি তাঁকে নতুন মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিজেপি নেতাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাত, তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার সহ সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাত, ঝালদা-১ ব্লকের তৃণমূলের নেতা অলক চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শনিবার পুরুলিয়া শহরের রবীন্দ্রভবনে এক ঝাঁক বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগদান করেন। তারপর ফের এদিন ঝালদাতেও বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়ল বিজেপি। এবিষয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শালিগ্রাম মাহাত বলেন, আমি আগে ওই মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলাম। নতুন কমিটিতে আমাকে মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারছিলাম না। জেলা নেতাদের অনেকেই এখনই ভেবে নিয়েছেন, তাঁরা ক্ষমতায় চলে এসেছেন। সকলের তো টাকার দরকার হয় না। অনেকেই সম্মানের জন্য দল করেন। মণ্ডল সভাপতি পদ পেলেও কাজের ক্ষেত্রে সম্মানটুকু পাচ্ছিলাম না। তাছাড়া জেলা নেতারা বিভিন্নভাবে শুধু মুখেই বলছেন, এই কাজ করে দেওয়া হবে, ওই কাজ করা হবে এলাকার। কিন্তু, এলাকার কোনও কাজই করতে পারছেন না। এমপিও এলাকার জন্য এখনও কিছুই করেননি। তাই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম। অন্তত এলাকার মানুষের হয়ে কিছু কাজ তো করতে পারব। আমার সঙ্গে ইচাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য পঙ্কজকুমার মুড়া এবং ইচাগ ৭ নম্বর বুথের সভাপতি নীলকমল কর্মকার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও অনেকেই বিজেপি ছাড়বে।
এবিষয়ে শান্তিরামবাবু বলেন, ওই বিজেপি নেতারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই মতো তাঁদের দলে স্বাগত জানানো হয়। এতে এলাকার সংগঠন মজবুত হবে।
এবিষয়ে ঝালদার বাসিন্দা তথা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর মাহাত বলেন, বিষয়টি জানি না। কলকাতা থেকে ফিরে অসুস্থ থাকায় খোঁজ নিতে পারিনি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।
অন্যদিকে, রবিবার কাশীপুর বিধানসভার হুড়া ও কাশীপুর ব্লকের ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৬৮টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে। এদিন কাশীপুরে তৃণমূলের বিধানসভা পার্টি অফিসে ওই পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া। এবিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত হাঁসদা বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।