কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুন্দপুর গ্রামের নবতিপর বৃদ্ধ জিতেন দেবনাথ ও তাঁর স্ত্রী আলো দেবনাথের পাঁচ ছেলে। সেজো ছেলে শুধু বাড়িতে থাকেন। বাকিরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তবে তাঁরা কারও কাছে থাকেন না। স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকেন। জিতেনবাবু বার্ধক্যভাতার টাকা পান। তা দিয়ে দম্পতির কোনও রকমে দিন চলে। তবুও বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। সেজো ছেলে গোরা দেবনাথ ও তাঁর স্ত্রী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার উপর নানা কারণে অত্যাচার করত বলে তাঁদের অভিযোগ। শনিবার রাতে বাড়িতে কোনও বিষয় নিয়ে অশান্তি হয়। এর ফলে সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে বৃদ্ধ দম্পতির উপর। তাঁদের মারধর করা হয় এবং খাবারের থালা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অত্যাচার সইতে না পেরে দম্পতি হেঁটে মুকুন্দপুর থেকে কাঁথিতে চলে আসেন। রাত হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় কোনও যানবাহন ছিল না। হাঁটতে হাঁটতে রাত ১২টায় তাঁরা কাঁথি থানায় এসে পৌঁছান। পুলিস তাঁদের সমস্ত অভিযোগ শোনে এবং গাড়িতে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। পুলিসের কাছ থেকে ছেলে-বউমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পরই বাড়ি যেতে রাজি হন তাঁরা।
সকালে পুলিস গোরাকে আটক করলেও গ্রামবাসীরা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেবেন বলে আশ্বাস দেওয়ায় পুলিস তাঁকে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনায় গোরা কিছু বলতে না চাইলেও তাঁর স্ত্রী হেনা দেবনাথ বলেন, আমরা ওঁদের উপর কোনও অত্যাচার করিনি। বাড়িতে একটু অশান্তি হয়েছিল ঠিকই। তবে আমাদের নামে পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলে ওঁরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছেন।