বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গত ৭ফেব্রুয়ারি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জেলাশাসক। সেখানে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় পানীয় জলের কাজ করার জন্য গঠিত প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট(পিআইইউ)-এর ইঞ্জিনিয়ার এবং জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কাঁথি-১, দেশপ্রাণ, কাঁথি-৩, রামনগর-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফি-বছর পানীয় জলের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে পিএইচই দপ্তরের কাছ থেকে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন ডিএম।
দাঁতনের সোনাকোনিয়ায় সুবর্ণরেখা নদীর জল এনে কাঁথি মহকুমার সাতটি ব্লকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর একটা সময় উদ্যোগ নিলেও সেটা এখন চর্চার মধ্যেই নেই। গতবছরও কলকাতা থেকে পিএইচই দপ্তরের কর্তারা এসে সোনাকোনিয়া ভিজিট করে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপর ওই স্কিম নিয়ে বিশেষ কোনও হেলদোল নেই বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ৮২১কোটি টাকায় নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর ও নন্দকুমারে বড় পানীয় জল প্রকল্প হচ্ছে। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসন চাইছে, সোনাকোনিয়ায় সুবর্ণরখা নদীর জল কিংবা এডিবি-র স্কিমকে সম্প্রসারণ করে কাঁথি, রামনগর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হোক। যেকোনও একটা কার্যকর করতে পারলে কাঁথি এবং রামনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফি-বছর পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হবে। গরমের সময় বহুদূর থেকে ট্যাঙ্কারের সাহায্যে জল নিয়ে যেতে হবে। ফি-বছর অতিরিক্ত ৩০লক্ষ টাকার খরচও সাশ্রয় হয়ে যাবে।
স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সংক্ষেপে স্যুইডের রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৫টি ব্লকের মধ্যে ১৬টি ব্লকের ভূগর্ভস্থ জল লবণাক্ত। আর জলস্তর অবস্থানের নিরিখে পাঁশকুড়া ক্রিটিক্যাল ব্লক এবং ভগবানপুর-২, এগরা-১ ও ২ এবং পটাশপুর-১ ও ২ব্লক সেমি-ক্রিটিক্যাল। তবে, দেশপ্রাণ, কাঁথি-৩, খেজুরি-১ এবং রামনগর-১ ও ২ব্লকের অবস্থা ভয়াবহ। নলকূপ পোঁতার পর লবণাক্ত জল বেরিয়ে আসায় একাধিক স্কিম বাতিল করে দিতে হয়েছে। এই অবস্থায় ভূগর্ভস্থ নয়, সারফেস ওয়াটার স্কিমের উপর জোর দিতে চাইছে জেলা প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে গত ৭ফেব্রুয়ারি মিটিং হয়। এনিয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরকে সার্ভে করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ডিএম। সেই রিপোর্ট তিনি রাজ্যে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
আর কিছুদিনের মধ্যেই গ্রীষ্মের দাবদাহ শুরু হবে। এই অবস্থায় কোথায় কেমন জলসঙ্কট হতে পারে, তানিয়ে মহকুমা শাসকদের একটি রিপোর্ট সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডিএম। সেই রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পিএইচই দপ্তরের তমলুকের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুদীপকুমার সেন বলেন, সোনাকোনিয়া থেকে সুবর্ণরেখা নদীর জল তুলে কাঁথি মহকুমার সাতটি ব্লকে পাঠানোর একটি প্রকল্প নিয়ে দপ্তরের প্ল্যানিং উইং একাধিকবার ভিজিট করেছে। ওই প্রকল্প নিয়ে এখনও বিশেষ কোনও অগ্রগতি হয়নি। এই অবস্থায় কাঁথি এবং রামনগরে ফি-বছর জলের সমস্যা সমাধানে একটি সার্ভে করে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।