বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি কর্পোরেশন লিমিটেডের আসানসোল শাখায় শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ে সরব হন। তিনি একদিকে যেমন পরামর্শ দেন, দু’পক্ষকেই নরম হতে হবে। তেমনই কিছুটা ধমকের সুরে বলেন, কোনওমতেই যেন শিল্প বন্ধ না হয়। তিনি মলয় ঘটককে নির্দেশ দিয়ে বলেন, কিছুদিন শ্রমিকদের টাকা দিতে দেরি হতেই পারে। সবার এক রকম অবস্থা থাকে না। তিনদিনের মধ্যে জেলাশাসককে নিয়ে সমস্যা মেটাবে।
এরপরেই আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য অভিজিৎ ঘটক, লক্ষ্মণ ঠাকুর, পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন, জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি, আসানসোলের মহকুমা শাসক দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সংস্থার আধিকারিক শুভঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় ও জয়রাম কুমার এদিন বৈঠকে বসেন। ১২টা থেকে প্রায় ৩টে পর্যন্ত বৈঠক হলেও কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। মলয়বাবু বলেন, এদিন প্রথম বৈঠক করলাম। আশাকরি পরবর্তী বৈঠকে সমাধান মিলবে। যদিও লক্ষ্মণ ঠাকুর বলেন, কর্তৃপক্ষ অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল পুরসভার ডামরা, ধেনুয়া, বনগ্রাম, সামডি, মদনডি সহ বহু জায়গায় সংস্থার গ্যাস সংগ্রহকারী পিট রয়েছে। প্রতিটি পিটে পাঁচ জন করে শ্রমিক মাসে ২৬ দিন করে কাজ করেন। জানুয়ারি মাসে সঠিক সময়ে মাইনে না পাওয়া নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন না পাওয়ায় কাজ বন্ধ। এমনকী কিছু ক্ষয়ক্ষতি করার অভিযোগ তুলে ২৯ জন শ্রমিককে কাজ থেকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কোম্পানির দাবি, নতুন করে ২৯ জন শ্রমিক নেওয়া হবে। ২১ দিন করে কাজ দেওয়া হবে। এনিয়ে শাসক দলের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয় কোম্পানির। এদিন মলয় ঘটক ও মহকুমা শাসক বৈঠক করলেও সমাধান বের হয়নি। এরপরেই প্রকারান্তরে কারখানা গুটিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে এসে রীতিমতো বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মন্ত্রী।
অন্যদিকে, সার্কিট হাউসের বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে সার্কিট হাউসের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন কাজ হারানো শ্রমিক থেকে পরিজনরা। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় তাঁরাও হতাশ।