গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই পোস্টারে অনুব্রত মণ্ডলকে উদ্দেশ করে লেখা হয়েছে, আজকের পর টুলু মণ্ডল কোথাও দিদির নাম, পার্টির নাম, জুলুমবাজি, দাদাগিরি করে তাহলে মরবে টুলু মণ্ডল। বলে গেলাম আজ। ফের অনুব্রতবাবুকে উদ্দেশ লেখা হয়েছে, জঙ্গলমহল জিতবে এবার টিএমসি। কেউ যদি পার্টির নাম খারাপ করে তাকে ফল খেতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থে নষ্ট করবে না কেউ দলের ভাবমূর্তি। ওই পোস্টার কে বা কারা লিখেছে তা সেখানে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে পোস্টারের নীচে শুধু ‘সংগঠন’ বলে লেখা হয়েছে। এছাড়া পোস্টারে একটি তির-ধনুকের ছবি আঁকা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোস্টারটি লাল কালিতে লেখা হয়েছে।
পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালেও সংশ্লিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী টুলুবাবু একটুও বিচলিত নন। তিনি বলেন, দু’দিন আগে আমার কাছে কাজ করা দু’জন ড্রাইভার মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল। তার জেরে তাদের কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। সেসময় তারা আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। সেজন্যই এদিন হুমকি দিয়ে রাইপুরে পোস্টার ছড়িয়ে দেয়। এদিন সেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা ছিলাম। ওই পোস্টার নিয়ে আমার কোনও আতঙ্ক নেই। আমার কোনও শত্রুও নেই। এলাকায় সামাজিক কাজ করি। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাহায্য করি। এলাকার আদিবাসীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। যেসব কথা সেখানে লেখা হয়েছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। অনুব্রতবাবুর নামেও লিখেছে। তাতে কিছু যায় আসে না। যে কেউ কারও নামে কিছু লিখতে পারে। সেটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই।
অন্যদিকে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি তথা মহম্মদবাজারের পর্যবেক্ষক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কতিপয় স্বার্থান্বেষী মানুষ সুস্থ পরিবেশকে অসুস্থ করার জন্য এধরনের কাজ করছে। অবিলম্বে তদন্ত করে সঠিক লোককে ধরে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনকে বলেছি।