পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে এই জেলায় ২১টি ব্লকে ৩৭ হাজার ১৩৪টি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখনও অধিকাংশ ব্লকে বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। প্রথম দফার যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, তারমধ্যে বহু উপভোক্তা খরচ করে ইউসি না দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় দফার টাকা পাননি। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, মাত্র ২০০০ উপভোক্তা প্রথম দফার টাকা খরচ করে ইউসি জমা দেওয়ার ফলে দ্বিতীয় দফার টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় জেলার ২১টি ব্লকের ১৯৬২জন উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফার টাকা ঠিকমতো খরচ করে নিয়ম মেনে ইউসি জমা দেওয়ার জন্য তৃতীয় দফায় ৮৯জন উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হয়েছে। মোট ৩৭ হাজার ১৩৪টি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যে ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৮৮১টি বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ হাজার ১৩৪টি বাড়ির মধ্যে জেলায় এখন ৩৬ হাজার ২৫৩টি বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে ৯৭.৬৩ শতাংশ বাড়ি তৈরির কাজ বাকি রয়েছে।
তার মধ্যে মেদিনীপুর সদর ব্লকে ৩১৬৪টি বাড়ি তৈরির কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সব থেকে বেশি রয়েছে নারায়ণগড় ব্লকে। এই ব্লকে ৫২৯৪টি বাড়ি তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। এছাড়া খড়্গপুর-২ ব্লকে ৩ ৫৮১টি, খড়্গপুর-১ ব্লকে ২৮৭০টি, কেশিয়াড়ি ব্লকে ৩২১৩টি, সবং ব্লকে ২৫৯৯টি বাড়ি, ডেবরা ব্লকে ৩২৪১টি, দাঁতন-১ ব্লকে ২২১৯টি, দাঁতন-২ ব্লকে ২৩৫৮টি বাড়ি তৈরির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এছাড়াও মোহনপুর ব্লকে ১৩৭৬টি, পিংলা ব্লকে ১১০৩টি, কেশপুর ব্লকে ২০৭৬টি, গড়বেতা-২ ব্লকে ৩৭৫টি, দাসপুর-২ ব্লকে ৫২৬টি, গড়বেতা-১ ব্লকে ২২৩টি, গড়বেতা-৩ ব্লকে ৮৬৩টি, দাসপুর-১ ব্লকে ৫০৯টি ও ঘাটাল ব্লকে ২৫৭টি বাড়ি তৈরির কাজ এখনও বাকি রয়েছে। চন্দ্রকোণা-১ ব্লকে সব থেকে কম বাড়ির কাজ রয়েছে।
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এই ব্লকে ১১৫টি বাড়ি তৈরির কাজ বাকি রয়েছে। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকে ১৬৬টি এবং শালবনী ব্লকে ১২৫টি বাড়ি তৈরির কাজ বাকি রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এই প্রকল্পে উপভোক্তাকে তিন দফায় টাকা দেওয়া হয়। প্রথম দফায় দেওয়া হয় ৬০ হাজার টাকা। সেই কাজ সম্পূর্ণ করার পর ইউসি জমা দেওয়া হলে দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকায় বাড়ির কাজ শেষ করার পর বাকি ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর ১০০ দিনের প্রকল্পে ৯৫দিন শ্রমদিবস দেওয়া হয়। নিয়ম মেনে সব ব্লকেই উপভোক্তাদের প্রথম দফার টাকা দেওয়া হয়েছিল। অনেকে সেই কাজ শেষ করে ঠিক সময়ে ইউসি জমা দিয়েছেন বলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দফার টাকা পেয়েছেন। যাঁরা দিতে পারেননি, তাঁরা পরবর্তী টাকা পাননি। এখনও দেড় মাস সময় রয়েছে। সব পঞ্চায়েতকে এই বিষয়ে খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসনের তরফে বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।