সংবাদদাতা, বর্ধমান: দুই বর্ধমানে পৃথক ঘটনায় সাতজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শক্তিগড় থানার করিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে ঘরের বাঁশের কাঠামোয় নিজেরই ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। ওড়না কেটে নামিয়ে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতার নাম মনোয়ারা খাতুন(১৩)। বুদবুদ থানার মাড়ো গ্রামে তার আদি বাড়ি। শক্তিগড়ের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ত সে। পড়াশোনার জন্য সে মামার বাড়িতে থাকত।
অন্য একটি ঘটনায় জামালপুর থানার মশাগ্রামে সাপের কামড়ে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম শিল্পা সিং (১৪)। সে মশাগ্রাম হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ত। শনিবার সকালে সে মাঠে কাঠ কুড়াতে যায়। সেখানে তার বাঁ পায়ে সাপে ছোবল মারে। তড়িঘড়ি তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেমারি থানার হাড়কালী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম মৌসুমি সাঁতরা(১৮)। মেমারি থানার শ্রীধরপুরে তাঁর বাপেরবাড়ি। মাস খানেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। দিন কয়েক আগে বাড়িতে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে তিনি মারা যান। রান্না করতে গিয়ে তিনি পুড়ে যান বলে পরিবারের দাবি।
অন্য একটি ঘটনায় দেওয়ানদিঘি থানার সিরাজপুরে পুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রবিবার সকালে নাচিপুকুরে দেহটি ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতার নাম লক্ষ্মী বাস্কে(৫৫)। মালদহে তাঁর আদি বাড়ি। সিরাজপুরে তিনি খেতমজুরের কাজ করতে এসেছিলেন। শনিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কোনওভাবে জলে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিসের অনুমান।
অন্য দিকে ট্রলির ধাক্কায় এক ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রাজকুমার সাউ (২৮)। পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালে তাঁর বাড়ি। তিনি ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। শুক্রবার দুপুরে বক্তার নগরে রেল লাইন মেরামতির কাজ করছিলেন। সেই সময় ট্রলির ধাক্কায় তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁকে আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান শহরের একটি নার্সিংহোমে আনা হয়। শনিবার রাতে তিনি মারা যান।
অপরদিকে মেমারি থানার ধনুই গ্রামে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম বিমল মণ্ডল (৩৮)। ধনুই গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি পেশায় চাষি ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে জমিতে জল ধরাতে যান তিনি। সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পাহাড়হাটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর একটি ঘটনায় হুগলির দাদপুর থানার মহিষপুরে জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রাকিব হোসেন শেখ (৩২)। মেমারি থানার সোনারা গ্রামে তাঁর বাড়ি।