কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছিল রামপুরহাটবাসীকে। কোথাও ঢালাই রাস্তার পাথর উঠে গর্ত, কোথাও আবার পিচ উঠে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তা। লক্ষ্য পুরভোট। তাই পুরভোটের আগে আরবান ডেভেলপমেন্ট মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স থেকে বরাদ্দ হওয়া ৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকায় শহরের ১৬টি রাস্তা ম্যাস্টিক পিচের করার উদ্যোগ নেয় পুরসভা। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রেলফটক ভায়া চাঁদামরি হয়ে স্লিপার ফ্যাক্টরি, রেলপাড় সব্জিবাজার থেকে লোকোপাড়া মসজিদ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জসিমুদ্দিনের বাড়ি থেকে মিলিটারি রোড, হালদার রাইস মিল রাস্তা, ফার্মপাড়া, জয়সোয়াল হোটেল থেকে ইউনাইটেড ক্লাব, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সব্জিহাট যাওয়ার রাস্তা, নরসিংহ স্টোর থেকে গণেশ মন্দির, বিআর আম্বেদকর রোড, ঘটকপুকুর রোড, দীনবন্ধু ক্লাব রোড সহ একাধিক রাস্তা ম্যাস্টিক করা হবে। চেয়ারম্যান জানান, এরমধ্যে গতবার বেশকিছু রাস্তা ম্যাস্টিক করার জন্য পিচ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ম্যাস্টিক না হওয়ায় কোথাও কোথাও পিচ উঠে গিয়েছে। সেগুলি ছাড়াও বেশকিছু রাস্তা ম্যাস্টিক পিচের করা হবে। সেইমতো টাকা এসেছে।
এদিকে মন্ত্রী বলেন, এই রাস্তাগুলি ম্যাস্টিক করার জন্য কাউন্সিলার বা ওয়ার্ডবাসীর কাছ থেকে দাবি উঠে এসেছে। সেই দাবিগুলি কতটা যুক্তিযুক্ত তা দেখতে হবে। ভালো রাস্তায় তো নতুন করে ম্যাস্টিক করা হবে না। সরেজমিনে সেই সমস্ত রাস্তা ঘুরে ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে কথা বলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। বেহাল রাস্তা আগে সংস্কার করা হবে। কাল, মঙ্গলবার থেকে পুরসভার চেয়ারম্যান ও দলের শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে সেই ওয়ার্ড পরিদর্শনে বের হবেন বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরের মানুষ। শহরের এক বাসিন্দার কথায়, ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের খেয়াল খুশিমতো কাজ করেন। ফলে, অনেক সময় একটা অংশ ব্রাত্য থেকে যায়। মন্ত্রী স্বয়ং সরেজমিনে মানুষের সঙ্গে কথা বলে কাজ হলে এর থেকে ভালো আর কিছু হয় না।
শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, অনেক কাউন্সিলার নিজেদের স্বার্থে এক বা দু’জনের জন্য রাস্তা নির্মাণ করে দেন। তাই কাউন্সিলাররা যে রাস্তাগুলি ম্যাস্টিক পিচের করার জন্য দিয়েছেন সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা ঘুরে দেখে মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরই সেই রাস্তার কাজ শুরু হবে। নইলে সেই রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য রাস্তা করা হবে। আবার জনবহুল এলাকায় খারাপ রাস্তার কাজ আগে করা হবে।