গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এ ব্যাপারে পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, ওই বিশেষ নম্বর সর্বক্ষণের জন্য চালু থাকবে। এছাড়া রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ
জায়গায় পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ করা হচ্ছে।
আসানসোলের জিটি রোড, এসবি গড়াই রোড, হটন রোড, রানিগঞ্জের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের এনএসবি রোড, থানা রোড সহ কুলটি, দুর্গাপুরের বেনাচিতি, স্টেশন বাজার, বরাকর জেলার সর্বত্রই যানজট সমস্যা প্রবল। যানজটপূর্ণ বহু এলাকার মধ্যেই রাস্তার উপর রয়েছে একাধিক মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র। তাই সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনো রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ে শিল্পাঞ্চলের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে। তাই এবার বিশেষ নম্বর চালু করে পরীক্ষার্থীদের আস্থা জোগানোর রাস্তায় হাঁটল পুলিস। ৮১১৬৬০৪৪০০ নম্বরে ফোন করলেই দ্রুত মিলবে পুলিসি সহায়তা। এছাড়া এই নম্বরেই হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করা যাবে। পাশাপাশি ১০০ নম্বর ডায়াল করেও সহযোগিতা মিলবে বলে পুলিসের দাবি। তবে, শুধু যানজট সমস্যা নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যদি মাইকিং বা অত্যধিক শব্দ তাণ্ডবের জন্য সমস্যায় পড়ে, তাহলে এই নম্বরে অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা মিলবে। তবে পুলিসের পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার নম্বর ৯৪৩৪৩৮৯৮২৭, ৮৯১৮৭২৩৯১২। এছাড়াও আসানসোল, দুর্গাপুরের কেন্দ্রগুলির পরীক্ষার্থীরা ৭৪৭৭৭০২০৫৬, বার্নপুর, কুলটি এলাকার জন্য ৭৪৭৭৭০২০৫৭, চিত্তরঞ্জন, গোয়াণ্ডির জন্য ৭৪৭৭৭০২০৫৮ ও রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া এলাকার পরীক্ষার্থীরা ৭৪৭৭৭০২০৫৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারবে।
তবে, এবছর গতবারের তুলনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কম। গতবছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৩ হাজার ১৫২জন। এবার সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৯৭৭। জেলার আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমায় গত বছর যথাক্রমে ১৯ হাজার ৪৫৩ ও ১৩ হাজার ৬৯৯ পরীক্ষার্থী ছিল। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৮ হাজার ৭৮৮ এবং ১৩ হাজার ১৮৯। প্রিন্সিপ্যাল ভেনুর সংখ্যাও ২৬টির জায়গায় হয়েছে ২৫টি। মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা এবার ১০০টি রয়েছে।
এবার পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরীক্ষার গার্ড দিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতি পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচজন ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এই জেলায় কোনও স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্র নেই। মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা কনভেনার দিব্যেন্দু সাহা বলেন, পুলিসের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমরাও হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছি।