বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সিউড়ির আইএনটিটিইউসির তরফে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই পরীক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা দেওয়া হবে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও একইভাবে টোটো পরিষেবা দেবেন চালকরা। এবারই এই প্রথম পরিষেবা দেবে তৃণমূল। তার ফলে পরীক্ষার্থীরা অনায়াসে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে। তৃণমূলের সিউড়ির আইএনটিটিইউসির টোটো ইউনিয়নের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বলেন, গ্রাম থেকে বহু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক সিউড়ি শহরে আসেন। বাসে চেপে যেসব পরীক্ষার্থী সিউড়ি শহরে আসবে তাদের নিজেদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। বিনা খরচেই টোটোয় চাপিয়ে সেইসব পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া অভিভাবকদের জন্যও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিভাবকদের পাশাপাশি শহরের বাসিন্দারা তৃণমূলের এই উদ্যোগ দেখবেন। ফলে, পুরভোটে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
টোটো ইউনিয়নের দাবি, পরীক্ষার্থীরা বাসে চেপে অনেক সময় নির্ধারিত কেন্দ্রে যায়। অনেক সময় সিউড়ি শহরেরও বহু ছাত্রছাত্রী পৃথক স্কুলে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষার্থীরা বাসে চেপে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে নামে। আবার অনেক পরীক্ষার্থী শহরের মধ্যেই যাতায়াত করে। ফলে, বাসস্ট্যান্ডে আসা পরীক্ষার্থীদের টোটোয় চাপিয়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দেবেন চালকরা। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে পৃথক দু’টি টোটোস্ট্যান্ড রয়েছে। একটি বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার রাস্তায়, অন্যটি বাসস্ট্যান্ড থেকে বেরনোর রাস্তার পাশে।
আইএনটিটিইউসির দাবি, পৃথক ওই দু’টি স্ট্যান্ডে কমপক্ষে ২০০টি টোটো থাকে। তাদের মধ্যেই ১০০টি টোটোকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। পরীক্ষার্থীরা সেখানে এলেই তাদের চাপিয়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। ওই টোটোয় পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কোনও যাত্রীকে ভাড়ার বিনিময়ে চাপানো হবে না। ফলে, তারা সরাসরি পরীক্ষা কেন্দ্রেই পৌঁছে যাবে। তবে, পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে আর ছাত্রছাত্রীদের আনার ব্যবস্থা রাখা হবে না। তবে, যদি কোনও পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়ে তার জন্য ব্যবস্থা থাকবে।
রাজিবুল বলেন, পরীক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ হওয়া টোটোয় আইএনটিটিইউসির ব্যানার থাকবে। তাছাড়া সেই টোটোর চালকের ফোন নম্বর চিরকুটে লিখে পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবককে দেওয়া থাকবে। পরীক্ষা শেষে যোগাযোগ নিয়ে সমস্যায় পড়লে সেই নম্বরে ফোন করলে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
তবে শুধু পরীক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে টোটোই নয়, অভিভাবকদের জন্য চা, জলের ব্যবস্থাও করছে তৃণমূল। আইএনটিটিইউসির বীরভূম জেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ভোটের কথা ভেবে নয়, দলের নির্দেশমতোই প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের জন্য চা, জলের ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া সরকারিভাবেও পরীক্ষার্থীদের পরিবহণের জন্য প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করব।
তৃণমূলের দাবি, অনেক পরীক্ষার্থীকে তার অভিভাবক কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। কিন্তু, অনেক পরীক্ষার্থীই আবার নিজেরাই পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যায়। তার ফলে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় অভিভাবকদের। সেই অবস্থায় সিউড়িতে বিনামূল্যে টোটো পরিষেবার উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। এব্যাপারে কড়িধ্যা যদু রায় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের বাসে প্রথমে সিউড়ি যেতে হয়। সেখান থেকে আবার টোটো বা রিকশয় চেপে তারা কেন্দ্রে যায়। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিনামূল্যে টোটো পেলে অনেকটাই চিন্তামুক্ত হওয়া যাবে। উদ্যোগটি খুবই ভালো। বেণীমাধব ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক অভিষেক দাঁ বলেন, উদ্যোগটি খুবই ভালো। অন্যের সাহায্যের জন্য পাশে দাঁড়ানোটাই সমাজের অঙ্গ।