কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে জখম নিতাইবাবুকে ভগবানপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর তমলুক জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীও প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযোগের তির এক তৃণমূল নেতার ভাই ও তাঁর দলবলের দিকে। পুলিসকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় পুলিসের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কোনও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিসকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় যুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে নিতাইবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মারধর করে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে গভীর রাতে এলাকায় পুলিস বাহিনী নিয়ে যান ওই এএসআই। অভিযোগ, নেতার ভাই ও তার দলবল পুলিসকর্মীদের উপরও চড়াও হয়। বাকি পুলিসকর্মীরা পালিয়ে রক্ষা পেলেও আক্রান্ত হন এএসআই অনিরুদ্ধবাবু। খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অনিরুদ্ধবাবুকে উদ্ধার করে।
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দেবব্রত কর ও ভগবানপুর উত্তর মণ্ডলের সভাপতি রমেশ মাইতি বলেন, পরিকল্পনামাফিক এই হামলা চালানো হয়। বিজেপি দল করছেন, এটাই হল নিতাইবাবুর ‘অপরাধ’। হামলার অভিযোগ সম্পর্কে মূল অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, ঘটনার বিস্তারিত কিছু আমার জানা নেই। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এলাকায় কিছুদিন ধরে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। দুষ্কৃতীদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে ঘটনাটি ঘটতে পারে। আমরা পুলিসকে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।