বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিউড়ির বেণীমাধব ইনস্টিটিউশনে মানবতাকে প্রতিষ্ঠা করতে থিমের ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে স্কুলের কয়েকটি শ্রেণীকক্ষকে থিমের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া স্কুলের চৌহদ্দিকে বাহারি আলো দিয়েও সাজানো হয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই সেই স্কুল অপরূপ চেহারায় মুড়ে গিয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট স্কুলের প্রথম শ্রেণীকক্ষে ঢুকলেই দেখা যাবে সর্ব ধর্ম সমন্বয়। সবার উপরে মানবতা বোঝানোর জন্য সেখানে কাগজ দিয়ে নানা ধরনের সামগ্রী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া দোতলায় দেবী বন্দনার জন্য পৃথক একটি ঘরকে ব্যবহার করা হয়েছে। তার পাশের ঘরগুলিতে রয়েছে শিক্ষা কীভাবে মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটায়। স্কেচের মাধ্যমে সেই দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেই স্কেচে আলো পড়লেই জানা যাবে শিক্ষার গুরুত্ব। এছাড়া শিশুশ্রমের উপরেও স্কেচ করা হয়েছে। অন্য একটি শ্রেণীকক্ষে প্রজেক্টারের মাধ্যমে চন্দ্রযান-২কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। চাঁদের মাটি বোঝাতে নিয়ে আসা হয়েছে ছাই। সদ্য উত্তীর্ণ দশম ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের মধ্যে রয়েছে আশিস লাহিড়ি, মহম্মদ আসিফ প্রমুখ। থিম ভাবনায় রয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষক অভিষেক দাঁ। তিনি বলেন, সমাজের বর্তমান অবস্থাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিশেষ কয়েক ধরনের থিম ভাবা হয়েছে। যা পড়ুয়াদের যেমন ভাবাবে, তেমনি দর্শনার্থীরাও আনন্দ পাবেন।
সিউড়িতে জেলা স্কুলের তরফেও এবার অভিনব ভাবনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে সাইট স্পেশিফিক কনসেপচুয়েল পাবলিক আর্ট করা হচ্ছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূগর্ভস্থ জলের সংস্থান কী ধরনের রয়েছে। সেই জল কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জল অপচয়ের বিষয়গুলিও দেখানো হচ্ছে। এছাড়া জলের সংস্থান শেষ হয়ে গেলে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তাও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। আর্টের মাধ্যমেই সেইসব বিষয় দেখানো হবে। নজরকাড়া এই থিম ভাবনায় রয়েছেন জেলা স্কুলের ড্রয়িং মাস্টার সারথি দাস। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে সেখানে একাধিক বিষয়ের উপর প্রদর্শনীও করা হবে। সেই প্রদর্শনীর দায়িত্বে রয়েছেন আর এক ড্রয়িং মাস্টার প্রদীপ সাউ।
সারথিবাবু বলেন, এতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। সেই দপ্তরের ল্যাবরোটরিতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ছাত্ররা। জলের ট্যাঙ্ক, পাইপ প্রভৃতি সামগ্রী দিয়ে বিষয়টি তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সিউড়ির পাবলিক অ্যান্ড চন্দ্রগতি মুস্তাফি মেমোরিয়াল হাইস্কুলে এবার পড়ুয়াদের হাত ধরেই সেজে উঠছে সমুদ্রের তলদেশ। সেখানে সমুদ্রের নীচে থাকা অজানা সব বিষয় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। ছাত্ররা জানিয়েছে, শোলা ও কাগজ দিয়ে তারামাছ, জেলিফিস, তিমিমাছ প্রভৃতি প্রাণীকে দেখানো হচ্ছে। লাড্ডুর টুপি, ফুচকার বাটি প্রভৃতি সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষক সন্দীপন রায় বলেন, ছাত্ররা যথেষ্ট পরিশ্রম করে নিজেদের উদ্যোগেই সরস্বতী পুজোর থিম তৈরি করছে।
সিউড়ির কালীগতি স্মৃতি নারী শিক্ষা নিকেতনে গল্প হলেও সত্যি থিম তৈরি করা হচ্ছে। একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীরা সেখানে বিভিন্ন ধরনের গল্পের উপর থিম তৈরি করছে। সেজন্য থিমে উঠে আসছে ঠাকুরমার ঝুলি, গোপাল ভাঁড় প্রভৃতি। তাছাড়া ছাত্রীরা আলপনাও আঁকছে।